ঢাকা ০১:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলে ট্রাকের পেছনে মাইক্রোবাসের ধাক্কা, বাবা ও দুই ছেলে নিহত

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:১৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
  • ৩৯ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে একই পরিবারের তিন সদস্যের। তাদের মধ্যে রয়েছেন একজন বাবা ও তার দুই ছেলে। আহত হয়েছেন আরও তিনজন, যাদের মধ্যে রয়েছেন দুই নারী ও এক শিশু। দুর্ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল প্রায় ৯টার দিকে টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলার করাতিপাড়া বাইপাস এলাকায়।

ঈদের ছুটি শেষে ঢাকা থেকে শেরপুরে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে মাইক্রোবাসযোগে রওনা হয়েছিলেন আমজাদ আলী ও তার পরিবারের সদস্যরা। পথে করাতিপাড়া বাইপাস এলাকায় পৌঁছালে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বাবা ও তার দুই ছেলে।

নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তারা হলেন—শেরপুর সদর উপজেলার কামারচর এলাকার আমজাদ আলী (বয়স ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে), তার ছেলে আতুল (২৪) ও রাতুল (১৪)।

দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত তিনজনকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে দুইজন নারী এবং একজন শিশু রয়েছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় এবং নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এরইমধ্যে ট্রাক ও মাইক্রোবাস উভয়টি জব্দ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, মহাসড়কে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক ও চালকের অসাবধানতাই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার মূল কারণ হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা যানবাহনের কারণে প্রায়ই এমন দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও নিয়ম না মানার প্রবণতা অনেক প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা, বাড়ছে মহাসড়ক ব্যবহারে সাধারণ মানুষের উদ্বেগ।

Tag :

টাঙ্গাইলে ট্রাকের পেছনে মাইক্রোবাসের ধাক্কা, বাবা ও দুই ছেলে নিহত

আপডেট সময় : ০৮:১৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে একই পরিবারের তিন সদস্যের। তাদের মধ্যে রয়েছেন একজন বাবা ও তার দুই ছেলে। আহত হয়েছেন আরও তিনজন, যাদের মধ্যে রয়েছেন দুই নারী ও এক শিশু। দুর্ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল প্রায় ৯টার দিকে টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলার করাতিপাড়া বাইপাস এলাকায়।

ঈদের ছুটি শেষে ঢাকা থেকে শেরপুরে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে মাইক্রোবাসযোগে রওনা হয়েছিলেন আমজাদ আলী ও তার পরিবারের সদস্যরা। পথে করাতিপাড়া বাইপাস এলাকায় পৌঁছালে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বাবা ও তার দুই ছেলে।

নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তারা হলেন—শেরপুর সদর উপজেলার কামারচর এলাকার আমজাদ আলী (বয়স ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে), তার ছেলে আতুল (২৪) ও রাতুল (১৪)।

দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত তিনজনকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে দুইজন নারী এবং একজন শিশু রয়েছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় এবং নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এরইমধ্যে ট্রাক ও মাইক্রোবাস উভয়টি জব্দ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, মহাসড়কে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক ও চালকের অসাবধানতাই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার মূল কারণ হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা যানবাহনের কারণে প্রায়ই এমন দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও নিয়ম না মানার প্রবণতা অনেক প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা, বাড়ছে মহাসড়ক ব্যবহারে সাধারণ মানুষের উদ্বেগ।