বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে সারা দেশজুড়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। বর্তমানে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন, এবং তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসী বিভিন্ন স্থানে দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনসহ দেশের রাজনৈতিক নেতারা খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করেছেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর এক বার্তায় দেশবাসীর কাছে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চেয়েছেন। এছাড়া, বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য বিশেষ প্রার্থনা করছেন। জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, এবং অনেক রাজনৈতিক নেতা তাঁর জন্য দোয়া করেছেন।

গতকাল, ৩০ নভেম্বর, বিএনপির সিনিয়র নেতারা, চিকিৎসকরা এবং দলের শীর্ষ নেতারা এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় দোয়া মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের শিক্ষকরাও বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন। ঢাকা, কুমিল্লা, বগুড়া, গাইবান্ধা, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানেও বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। কিশোরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ এবং নোয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে দলের নেতা-কর্মীরা খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেছেন।

এদিকে, আন্তর্জাতিকভাবে কিছু দেশ যেমন যুক্তরাজ্য এবং সিঙ্গাপুর, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে, তার শারীরিক অবস্থার কারণে বিদেশে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।

এছাড়া, খালেদা জিয়ার ছেলে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাঁর মায়ের সুস্থতার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এবং সকলের দোয়া কামনা করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতা, সাধারণ জনগণ এবং ছাত্র-জনতা সবাই একযোগে তাঁর সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছেন এবং দেশব্যাপী দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হচ্ছে।