অনিয়ম দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। জাতীয় গৃহায়ন কতৃপক্ষের প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হচ্ছেন চেয়ারম্যান। কারণে অকারনে এই প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান কে ঘনঘন পরিবর্তন করা হয়। কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী একটা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চেয়ারম্যান কে পরিবর্তনের কেন্দ্র করে দুর্নীতির অনিয়মের শক্তিশালী একটা সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। আর এই সিন্ডিকেটের শক্তিশালী হাত হল প্রশাসনিক কর্মকর্তা একরামুল কবির।
জাতীয় গৃহায়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা একরামুল কবির সিলেটের হাউজিং স্টেট, সিলেটের সহকারী পরিচালক (ডুইপ) ঢাকাতে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। দুই জায়গায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একরামুল কবিরকে সপ্তাহে দুই দিন বাংলাদেশ বিমানে ঢাকা-সিলেট আসা যাওয়া করছেন। এতে তার প্রতি মাসে খরচ হয় ৪০ হাজার টাকা। অনুসন্ধানীতে জানা যায় ২০২৪ ইং সনে জুলাই বিপ্লবের ফলে চেয়ারম্যান নুরুল বাশির প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে থাকা একরামুল কবির কে বদলি করেন। পরবর্তীতে একরামুল কবির চেয়ারম্যান নুরুল বাসির কে বিশ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে ম্যানেজ করে আদেশ পরিবর্তন করেন। ঢাকায় ডুইপ প্রকল্পের সহকারী পরিচালক পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনে অফিস আদেশ জারি পাস করায় বলে অভিযোগ রয়েছে একরামুলের বিরুদ্ধে। অথচ সরকারি পরিচালক ডুইপ কোন পদ নেই। এই পদ লোভে পরে সরাসরি নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার হীন মানসিকতার একে রিট্ মামলা করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, সহকারী পরিচালক পদে ১০ পার্সেন্ট কোটা সংরক্ষণ রাখতে হবে। যেখানে মাত্র এক বছর আগে এক কোঠার বিরোধিতা করে হাজার হাজার শিক্ষার্থী শহীদ হন। জাতীয় গৃহায়ন প্রশাসনিক পদে চাকরি করার সুবাদে একরামুল কবির অনিয়ম করে নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার সহায় সম্পদ। চতুর একরামুল কবির কিছুদিন আগে একটি ব্রান্ড নিউ প্রিমিও গাড়ি , পারভেজ নামের একটি ব্যক্তির নামে গাড়িটি ক্রয় করেন। গাড়িটি কেনার পর থেকে ইকরামুল কবিরের পরিবারের কাজেই সারাক্ষণ ব্যবহার করা হয়। গাড়িটি পারভেজ সাহেবের নামে ক্রয় করলেও তার ট্যাক্স ফাইলে এই গাড়িটি নাই। আলোচিত এই গাড়িটির নাম্বার মেট্রো গ ৪৭৮৬২৬। গাড়িটি ইকরামুল কবিরের মোবাইল নাম্বারে জিআরএস ট্রাকিং সিস্টেম চালু কেন ইকরামুল কবির এই সব উত্তর দিতে পারে নাই। ইকরামুল কবির প্রতিমাসের বেতন পায় সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা। অথচ তার বড় মেয়ে প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে পড়ছে যাতে ভর্তি হতে এককালীন ৩২ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়
প্রতিবছর সেশন ফি ৪ লক্ষ টাকা আর প্রতিমাসে বেতন ৭০ হাজার টাকা প্রদান করতে হয়। ইকরামুল কবিরের অন্য তিন ছেলে মেয়ে সবাই নামিদামি ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে। যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। বিগত সরকারের প্রভাব খাটে একরামুল কবির জাতীয় গৃহায়ন কতৃপক্ষের আওতায় গৃহায়ন দোলনচাঁপায় ১৮৫০ বর্গফুট আয়তনের একটি ফ্লাট অনিয়ম করে গ্রেডেশন তালিকা করে নিজের করে নিয়েছেন। যাতে প্রতিবছর ৭ লক্ষ টাকা কিস্তি দিতে হয়। ইকরামুল করিম জামালপুর সমিতি নামে ১৫০০ বর্গফুট আয়তনের আরেকটি ফ্ল্যাট ক্রয় করেন। ইকরামুল কবিরের স্ত্রী গৃহিণী হওয়ায় সত্ত্বেও তাজমহল রোডে দুইটি ফ্ল্যাট ক্রয় করেন। এগুলো সব ঘুষ বাণিজ্যের অর্থে দিয়ে ক্রয় করা সহায় সম্পদ। তার গ্রামের বাড়িতে রয়েছে প্রচুর নামে বেনামে সম্পত্তি। স্ত্রীর নামে এফডিআর। মাসে তার পারিবারিক খরচ প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। ইকরামুল কবিরের সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। অর্জিত সম্পদের বিষয়ে জরুরি তদন্ত প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর আবেদন করেছে ভুক্তভোগীরা। দুর্নীতিবাজ একরামুল কবির কে আইনের আওতাও নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সাধারণ জনগণের মাঝখান থেকে এই কথা উঠে এসেছে। প্রশাসনে স্বচ্ছতা ফিরে আসুক। দেশে প্রতিষ্ঠিত হোক সুশাসন এমনই অনুসন্ধান প্রতিবেদনের প্রশাসনের কাছে প্রত্যাশা করেন। ধারাবাহিক চলবে…..
শিরোনাম :
জাতীয় গৃহায়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা একরামুল কবিরের সীমাহীন অনিয়ম- দুর্নীতি
-
অনুসন্ধানী প্রতিবেদন - আপডেট সময় : ০৬:০৩:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫
- ২০২ বার পড়া হয়েছে
Tag :





















