ঢাকা ০৩:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশজুড়ে কিশোর গ্যাংয়ের দাপট, নিয়ন্ত্রণে বাড়ছে উদ্বেগ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:০১:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা শহরে কিশোর অপরাধীদের দাপট আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। শুধু গাজীপুরেই সক্রিয় রয়েছে কমপক্ষে ৩০টি কিশোর অপরাধী চক্র, আর কক্সবাজারে শতাধিক চক্রের বেশির ভাগ সদস্যই রোহিঙ্গা কিশোর-কিশোরী। রাজশাহী মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ডেই চক্র সক্রিয়, চট্টগ্রামে ‘বড় ভাই’ বদল করে নতুনভাবে সংগঠিত হচ্ছে অপরাধীরা।

ময়মনসিংহ, খুলনা, সিলেটসহ দেশের প্রায় সব বড় শহরেই কিশোর গ্যাংদের তৎপরতা বেড়েছে বলে জানাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয়রা।

গাজীপুরে বিভিন্ন এলাকায় কিশোর অপরাধীরা আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, উত্ত্যক্তকরণ এবং সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। অনেক সময় তারা প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়াও দিচ্ছে। গত ৩১ মে যৌথ বাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক হয় ইলিয়াস মোল্লা ও তার দুই সহযোগী। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তারা পুনরায় সক্রিয় হয়ে ওঠে।

৩০টির বেশি সক্রিয় কিশোর গ্যাং পুবাইল, টঙ্গী, গাছা, কোনাবাড়ী, কাশিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ‘বড় ভাই’দের ছত্রছায়ায় অপতৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

চট্টগ্রামে এক সময়কার ‘বড় ভাই’দের সরিয়ে এখন নতুন নেতৃত্বে গ্যাংগুলো আবারও সংগঠিত হচ্ছে। ছিনতাই, মারধর, চাঁদাবাজি এমনকি হত্যাকাণ্ডেও জড়াচ্ছে এরা। সিএমপি ২০১৯ সালে কিশোর অপরাধীদের তালিকা করলেও এখন আবার হালনাগাদ করতে হচ্ছে।

বায়েজিদ, হালিশহর, কোতোয়ালি, ডবলমুরিং, চান্দগাঁওসহ অন্তত আটটি থানায় সক্রিয় এই চক্রগুলোর প্রত্যেকটিতে সদস্যসংখ্যা ১৫ থেকে ৩০ জনের মতো।

রাজশাহীতে ৩০টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতেই সক্রিয় রয়েছে কিশোর অপরাধী চক্র। আগের রাজনৈতিক আশ্রয়ে গড়ে ওঠা এসব গ্যাং এখন বিভিন্ন নামে অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। মাদক, অস্ত্র এবং অর্থের জোগানদাতা হিসেবে স্থানীয় সুবিধাভোগীরা রয়েছে পেছনে।

ময়মনসিংহ শহরের পার্ক, কোচিং পাড়া ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে গ্যাং সদস্যদের উৎপাত বেড়েছে। এসব চক্র শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করে, মোটরসাইকেলে বেপরোয়া আচরণ করে এবং কর্মচারীদেরও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।

Tag :

দেশজুড়ে কিশোর গ্যাংয়ের দাপট, নিয়ন্ত্রণে বাড়ছে উদ্বেগ

আপডেট সময় : ০৭:০১:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা শহরে কিশোর অপরাধীদের দাপট আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। শুধু গাজীপুরেই সক্রিয় রয়েছে কমপক্ষে ৩০টি কিশোর অপরাধী চক্র, আর কক্সবাজারে শতাধিক চক্রের বেশির ভাগ সদস্যই রোহিঙ্গা কিশোর-কিশোরী। রাজশাহী মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ডেই চক্র সক্রিয়, চট্টগ্রামে ‘বড় ভাই’ বদল করে নতুনভাবে সংগঠিত হচ্ছে অপরাধীরা।

ময়মনসিংহ, খুলনা, সিলেটসহ দেশের প্রায় সব বড় শহরেই কিশোর গ্যাংদের তৎপরতা বেড়েছে বলে জানাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয়রা।

গাজীপুরে বিভিন্ন এলাকায় কিশোর অপরাধীরা আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, উত্ত্যক্তকরণ এবং সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। অনেক সময় তারা প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়াও দিচ্ছে। গত ৩১ মে যৌথ বাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক হয় ইলিয়াস মোল্লা ও তার দুই সহযোগী। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তারা পুনরায় সক্রিয় হয়ে ওঠে।

৩০টির বেশি সক্রিয় কিশোর গ্যাং পুবাইল, টঙ্গী, গাছা, কোনাবাড়ী, কাশিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ‘বড় ভাই’দের ছত্রছায়ায় অপতৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

চট্টগ্রামে এক সময়কার ‘বড় ভাই’দের সরিয়ে এখন নতুন নেতৃত্বে গ্যাংগুলো আবারও সংগঠিত হচ্ছে। ছিনতাই, মারধর, চাঁদাবাজি এমনকি হত্যাকাণ্ডেও জড়াচ্ছে এরা। সিএমপি ২০১৯ সালে কিশোর অপরাধীদের তালিকা করলেও এখন আবার হালনাগাদ করতে হচ্ছে।

বায়েজিদ, হালিশহর, কোতোয়ালি, ডবলমুরিং, চান্দগাঁওসহ অন্তত আটটি থানায় সক্রিয় এই চক্রগুলোর প্রত্যেকটিতে সদস্যসংখ্যা ১৫ থেকে ৩০ জনের মতো।

রাজশাহীতে ৩০টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতেই সক্রিয় রয়েছে কিশোর অপরাধী চক্র। আগের রাজনৈতিক আশ্রয়ে গড়ে ওঠা এসব গ্যাং এখন বিভিন্ন নামে অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। মাদক, অস্ত্র এবং অর্থের জোগানদাতা হিসেবে স্থানীয় সুবিধাভোগীরা রয়েছে পেছনে।

ময়মনসিংহ শহরের পার্ক, কোচিং পাড়া ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে গ্যাং সদস্যদের উৎপাত বেড়েছে। এসব চক্র শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করে, মোটরসাইকেলে বেপরোয়া আচরণ করে এবং কর্মচারীদেরও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।