বাংলাদেশ প্রস্তাবিত গ্লোবাল প্লাস্টিকস চুক্তির সর্বশেষ খসড়া দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক দূষণ রোধে আরও কঠোর, বাধ্যতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসংঘ পরিবেশ পরিষদের প্রস্তাব ৫/১৪ অনুযায়ী একটি আন্তর্জাতিক আইনি বাধ্যতামূলক চুক্তি প্রণয়নের যে ম্যান্ডেট রয়েছে, খসড়াটি তা পূরণে ব্যর্থ—এমনটাই মনে করছে বাংলাদেশ।
এই অবস্থান জানানো হয় গত বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত আন্তঃসরকারি আলোচনাসভা (INC-5.2)-এর দ্বিতীয় পর্বে।
দুর্বল ও অপর্যাপ্ত খসড়া: বাংলাদেশের অভিযোগ
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, খসড়াটি দুর্বল ও অপর্যাপ্ত। এতে—
সরবরাহপক্ষীয় পদক্ষেপ বাদ দেওয়া হয়েছে,
প্লাস্টিকের পূর্ণ জীবনচক্র,
স্বাস্থ্য প্রভাব,
ক্ষতিকর রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ,
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অগ্রাধিকার
এবং
আন্তঃসীমান্ত দূষণ রোধে কোনো বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা নেই।
এছাড়া, খসড়ায় কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য নির্ভরযোগ্য উপায় নেই এবং এটি মূলত জটিল ও স্বেচ্ছাসেবী পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে, যা বৈশ্বিক প্লাস্টিক সংকটের গুরুত্বকে উপেক্ষা করছে।
বাংলাদেশের মতে, চুক্তির মূল কাঠামোতে ক্ষতিকর রাসায়নিক, প্লাস্টিক নিঃসরণ এবং প্রাথমিক উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ অন্তর্ভুক্ত না থাকলে তা বাস্তবসম্মত নয়। খসড়াটি শুধু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাঠামো তৈরি করে, কিন্তু উৎপাদকদের দায়মুক্ত রাখে এবং সবচেয়ে ক্ষতিকর প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধে কোনো বাধ্যবাধকতা দেয় না।
বাংলাদেশ স্পষ্ট জানিয়েছে, অর্থবহ সংশোধন ছাড়া এই খসড়া গ্রহণযোগ্য নয়, এবং জাতিসংঘের ম্যান্ডেট অনুযায়ী উচ্চাভিলাষী পদক্ষেপ নিতে হবে।

অনলাইন ডেস্ক 















