ঢাকা ১২:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে নুরুল হক নুরের প্রতিক্রিয়া: “বৃহৎ স্বার্থে সাধুবাদ, কিন্তু সংস্কার নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে”

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:২২:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কর্তৃক ঘোষিত “জুলাই ঘোষণাপত্র” নিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ঘোষণাপত্র পাঠ শেষে গণমাধ্যমে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় নুর বলেন, “ঘোষণাপত্রে যেসব প্রস্তাব আমরা রেখেছিলাম, তার বেশিরভাগই স্থান পায়নি। তবুও দেশের বৃহৎ স্বার্থে এ ঘোষণাপত্রকে সাধুবাদ জানাই।”

নুরুল হক নুর বলেন,“আমাদের পক্ষ থেকে একটি জোরালো প্রস্তাব ছিল—জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পরপরই তা বাস্তবায়ন করতে হবে। কিন্তু ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, আগামী সংসদ সেটি বাস্তবায়ন করবে। এতে রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে জনআকাঙ্ক্ষা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন,“জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি নিয়েও ঘোষণাপত্রে কার্যত কিছু বলা হয়নি। আমরা চাই, এই সনদ শুধু প্রতীকী ঘোষণায় সীমাবদ্ধ না থেকে বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা পাক।”

নুর বলেন,“ঘোষণাপত্রে ইতিহাসের বিস্তৃত আলোচনা থাকলেও অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, বিশেষ করে গত দেড় দশকের দমন-পীড়ন, গুম-খুনের প্রসঙ্গগুলো অপেক্ষাকৃতভাবে কম এসেছে। অথচ ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলন তরুণদের জাগ্রত করে, যার ফলেই চব্বিশের আন্দোলন থেকে অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়।”

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ড. মুহাম্মদ ইউনূস আনুষ্ঠানিকভাবে ২৮ দফার “জুলাই ঘোষণাপত্র” পাঠ করেন, যেখানে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের আন্দোলন পর্যন্ত নানা ঘটনার উল্লেখ করা হয়।

ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, নাগরিক ঐক্য, এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত নেতাদের মধ্যে ছিলেন—

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (মহাসচিব, বিএনপি)

মিয়া গোলাম পরওয়ার (সেক্রেটারি জেনারেল, জামায়াতে ইসলামী)

মাহমুদুর রহমান মান্না (সভাপতি, নাগরিক ঐক্য)

নাহিদ ইসলাম (আহ্বায়ক, এনসিপি)

নুরুল হক নুর (সভাপতি, গণঅধিকার পরিষদ)

Tag :

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে নুরুল হক নুরের প্রতিক্রিয়া: “বৃহৎ স্বার্থে সাধুবাদ, কিন্তু সংস্কার নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে”

আপডেট সময় : ০৬:২২:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কর্তৃক ঘোষিত “জুলাই ঘোষণাপত্র” নিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ঘোষণাপত্র পাঠ শেষে গণমাধ্যমে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় নুর বলেন, “ঘোষণাপত্রে যেসব প্রস্তাব আমরা রেখেছিলাম, তার বেশিরভাগই স্থান পায়নি। তবুও দেশের বৃহৎ স্বার্থে এ ঘোষণাপত্রকে সাধুবাদ জানাই।”

নুরুল হক নুর বলেন,“আমাদের পক্ষ থেকে একটি জোরালো প্রস্তাব ছিল—জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পরপরই তা বাস্তবায়ন করতে হবে। কিন্তু ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, আগামী সংসদ সেটি বাস্তবায়ন করবে। এতে রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে জনআকাঙ্ক্ষা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন,“জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি নিয়েও ঘোষণাপত্রে কার্যত কিছু বলা হয়নি। আমরা চাই, এই সনদ শুধু প্রতীকী ঘোষণায় সীমাবদ্ধ না থেকে বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা পাক।”

নুর বলেন,“ঘোষণাপত্রে ইতিহাসের বিস্তৃত আলোচনা থাকলেও অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, বিশেষ করে গত দেড় দশকের দমন-পীড়ন, গুম-খুনের প্রসঙ্গগুলো অপেক্ষাকৃতভাবে কম এসেছে। অথচ ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলন তরুণদের জাগ্রত করে, যার ফলেই চব্বিশের আন্দোলন থেকে অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়।”

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ড. মুহাম্মদ ইউনূস আনুষ্ঠানিকভাবে ২৮ দফার “জুলাই ঘোষণাপত্র” পাঠ করেন, যেখানে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের আন্দোলন পর্যন্ত নানা ঘটনার উল্লেখ করা হয়।

ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, নাগরিক ঐক্য, এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত নেতাদের মধ্যে ছিলেন—

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (মহাসচিব, বিএনপি)

মিয়া গোলাম পরওয়ার (সেক্রেটারি জেনারেল, জামায়াতে ইসলামী)

মাহমুদুর রহমান মান্না (সভাপতি, নাগরিক ঐক্য)

নাহিদ ইসলাম (আহ্বায়ক, এনসিপি)

নুরুল হক নুর (সভাপতি, গণঅধিকার পরিষদ)