ঢাকা ১২:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতাল নিয়ে আইএমইডির প্রতিবেদন: ৩৯ জন চোখ হারিয়েছেন, চিকিৎসায় প্রশংসিত প্রতিষ্ঠান

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৫:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫
  • ৩৪ বার পড়া হয়েছে

২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে চোখে আঘাত পাওয়া অন্তত ১,০৭৪ জনকে চিকিৎসা দিয়েছে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। এর মধ্যে ৩৯ জন চিরতরে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন—বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। প্রতিষ্ঠানটির সদ্য প্রকাশিত এক পর্যালোচনা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত এ হাসপাতাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুরুতর আহতদের সেবায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। চীন, নেপাল, সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাজ্য থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে সহায়তা নেওয়ার পাশাপাশি ৯ জনকে বিদেশেও পাঠানো হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ৭৯৬ জন গুরুতর রোগী ভর্তি হন, যাদের মধ্যে ৬৭৫ জন চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এছাড়া ২৭৮ জন বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। বর্তমানে ১২১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন, যাদের মধ্যে ৩৯ জন পুরোপুরি চোখ হারিয়েছেন, ৬৫ জন সম্পূর্ণ সেরে উঠেছেন, এবং ৪৫০ জন আংশিক দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।

আইএমইডি বলছে, “জুলাই বিপ্লবের মতো জাতীয় সংকটে চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট দক্ষতার সঙ্গে সাড়া দিয়েছে।” তবে একই সঙ্গে প্রতিবেদনটিতে হাসপাতালের বিভিন্ন অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কথাও তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসপাতালের মূল ভবনের বেজমেন্ট ফ্লোরে সব সময় পানি জমে থাকে, ফলে মালামাল রাখা ও গাড়ি পার্কিং সম্ভব হচ্ছে না। বৃষ্টির দিনে ভেতরে পানি ঢুকে পড়ে, কার্যক্রম ব্যাহত হয়। কিচেন, ওয়াশিং ইউনিট ও সিভিল-ইলেকট্রিক কাজ অসম্পূর্ণ, আর পঞ্চম তলায় ময়লা পানির চুইয়ে পড়া ওয়ার্ডে সমস্যা সৃষ্টি করছে।

Tag :

চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতাল নিয়ে আইএমইডির প্রতিবেদন: ৩৯ জন চোখ হারিয়েছেন, চিকিৎসায় প্রশংসিত প্রতিষ্ঠান

আপডেট সময় : ০৬:৩৫:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫

২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে চোখে আঘাত পাওয়া অন্তত ১,০৭৪ জনকে চিকিৎসা দিয়েছে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। এর মধ্যে ৩৯ জন চিরতরে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন—বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। প্রতিষ্ঠানটির সদ্য প্রকাশিত এক পর্যালোচনা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত এ হাসপাতাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুরুতর আহতদের সেবায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। চীন, নেপাল, সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাজ্য থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে সহায়তা নেওয়ার পাশাপাশি ৯ জনকে বিদেশেও পাঠানো হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ৭৯৬ জন গুরুতর রোগী ভর্তি হন, যাদের মধ্যে ৬৭৫ জন চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এছাড়া ২৭৮ জন বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। বর্তমানে ১২১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন, যাদের মধ্যে ৩৯ জন পুরোপুরি চোখ হারিয়েছেন, ৬৫ জন সম্পূর্ণ সেরে উঠেছেন, এবং ৪৫০ জন আংশিক দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।

আইএমইডি বলছে, “জুলাই বিপ্লবের মতো জাতীয় সংকটে চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট দক্ষতার সঙ্গে সাড়া দিয়েছে।” তবে একই সঙ্গে প্রতিবেদনটিতে হাসপাতালের বিভিন্ন অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কথাও তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসপাতালের মূল ভবনের বেজমেন্ট ফ্লোরে সব সময় পানি জমে থাকে, ফলে মালামাল রাখা ও গাড়ি পার্কিং সম্ভব হচ্ছে না। বৃষ্টির দিনে ভেতরে পানি ঢুকে পড়ে, কার্যক্রম ব্যাহত হয়। কিচেন, ওয়াশিং ইউনিট ও সিভিল-ইলেকট্রিক কাজ অসম্পূর্ণ, আর পঞ্চম তলায় ময়লা পানির চুইয়ে পড়া ওয়ার্ডে সমস্যা সৃষ্টি করছে।