ঢাকা ০১:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল শুনানি ১৩ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:০৪:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

একুশে আগস্টের ভয়াল গ্রেনেড হামলা মামলায় খালাসপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানি ১৩ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালত দুপুর সোয়া একটা পর্যন্ত শুনানি শেষে পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

শুনানির শুরুতে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতির জন্য রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন গ্রহণ করেন আদালত। এরপরই মূল আপিলের শুনানি শুরু হয়, যা এখন স্থগিত হয়ে ১৩ আগস্ট (মঙ্গলবার) আবার শুরু হবে।

২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সকল আসামিকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় খালাস দেন। ওই রায়ের বিরোধিতা করে ২০২৪ সালের ১৯ মার্চ আপিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ।

রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই হামলা ছিল দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি পরিকল্পিত ও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘটিত সন্ত্রাসী ঘটনা, যার সুষ্ঠু বিচার অপরিহার্য। অপরদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আশা প্রকাশ করেছেন যে, হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় আপিল বিভাগেও বহাল থাকবে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। প্রাণ হারান আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মী, আহত হন শতাধিক। এ হামলার পর হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা দায়ের হয়।

দীর্ঘ তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়ার পর ২০১৮ সালে বিচারিক আদালত রায় ঘোষণা করেন। এতে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, তারেক রহমানসহ আরও ১৯ জনের যাবজ্জীবন এবং ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ঘোষণা করা হয়।

তবে হাইকোর্ট ২০২৩ সালে বিচারিক আদালতের এই রায় বাতিল করে সব আসামিকে খালাস দেন, যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এখন আপিল বিভাগের ওপর নির্ভর করছে দেশের অন্যতম আলোচিত এই মামলার চূড়ান্ত রায়।

Tag :

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল শুনানি ১৩ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি

আপডেট সময় : ০৮:০৪:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

একুশে আগস্টের ভয়াল গ্রেনেড হামলা মামলায় খালাসপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানি ১৩ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালত দুপুর সোয়া একটা পর্যন্ত শুনানি শেষে পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

শুনানির শুরুতে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতির জন্য রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন গ্রহণ করেন আদালত। এরপরই মূল আপিলের শুনানি শুরু হয়, যা এখন স্থগিত হয়ে ১৩ আগস্ট (মঙ্গলবার) আবার শুরু হবে।

২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সকল আসামিকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় খালাস দেন। ওই রায়ের বিরোধিতা করে ২০২৪ সালের ১৯ মার্চ আপিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ।

রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই হামলা ছিল দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি পরিকল্পিত ও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘটিত সন্ত্রাসী ঘটনা, যার সুষ্ঠু বিচার অপরিহার্য। অপরদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আশা প্রকাশ করেছেন যে, হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় আপিল বিভাগেও বহাল থাকবে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। প্রাণ হারান আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মী, আহত হন শতাধিক। এ হামলার পর হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা দায়ের হয়।

দীর্ঘ তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়ার পর ২০১৮ সালে বিচারিক আদালত রায় ঘোষণা করেন। এতে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, তারেক রহমানসহ আরও ১৯ জনের যাবজ্জীবন এবং ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ঘোষণা করা হয়।

তবে হাইকোর্ট ২০২৩ সালে বিচারিক আদালতের এই রায় বাতিল করে সব আসামিকে খালাস দেন, যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এখন আপিল বিভাগের ওপর নির্ভর করছে দেশের অন্যতম আলোচিত এই মামলার চূড়ান্ত রায়।