বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা সাদিক কায়েম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন না বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার এক ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “সাদিক কায়েম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সমন্বয়ক ছিলেন না। তবে ৫ আগস্টের প্রেস ব্রিফিংয়ে তাকে রাখা হয়েছিল অভ্যুত্থানে শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে।” তিনি অভিযোগ করেন, পরবর্তীতে সাদিক কায়েম ও তার অনুসারীরা দাবি করেছেন, “ঢাবি শিবির এই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছে, অন্যরা ছিল শুধু পোস্টারে।” নাহিদ ইসলাম স্পষ্ট করে জানান, “অভ্যুত্থানে শিবিরের ভূমিকা ছিল, তবে এটি তাদের একক কোনো প্রক্রিয়া নয় এবং তারা কোনো নির্দেশনাও দেয়নি।”
নাহিদ ইসলাম আরও দাবি করেন, “ছাত্রশক্তি গঠনের পেছনে শিবিরের কোনো ভূমিকা ছিল না। এটি গঠিত হয়েছে ‘গুরুবার আড্ডা’ পাঠচক্র, ঢাবি ছাত্র অধিকার থেকে পদত্যাগকারী অংশ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্টাডি সার্কেলের যৌথ প্রচেষ্টায়।”
তিনি বলেন, “আমরা ক্যাম্পাসে আট বছর ধরে রাজনীতি করছি, সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল, তবে তা রাজনৈতিক নির্দেশনা বা যুক্ততা নয়।”
জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, “৫ আগস্ট রাতে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। পরবর্তীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে ওই প্রস্তাব তোলা হয়। তবে তিনি তা নাকচ করেন এবং নাগরিক সমাজ দিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের পরামর্শ দেন।” ওই সময় এনসিপির পক্ষ থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে প্রস্তাব দেওয়া হয় বলেও জানান নাহিদ ইসলাম।
এনসিপি নেতা অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পর থেকে একটি পক্ষ সাদিক কায়েমদের ব্যবহার করে পাল্টা নেতৃত্ব দাঁড় করাতে চাচ্ছে। কে বা কারা ক্ষমতার ভাগ-বাঁটোয়ারা ও গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করছে, সে বিষয়ে ভবিষ্যতে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।

অনলাইন ডেস্ক 















