ঢাকা ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রস্তুত চীন: চীনা রাষ্ট্রদূত

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:০২:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

তিস্তা বহুমুখী প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তবে এ বিষয়ে এখন বাংলাদেশের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে বেইজিং।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিক্যাব টকে বক্তব্য দেন চীনা রাষ্ট্রদূত। এ সময় তিনি বাংলাদেশ-চীন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, রোহিঙ্গা সংকট এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতামত দেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, “তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাংলাদেশকেই।” উল্লেখ্য, তিস্তা নদীর পানি ব্যবস্থাপনা, কৃষি, সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচিত এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত।

চীনা রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে চায় চীন, যার লক্ষ্য হবে “উন্নত ও সমৃদ্ধ প্রতিবেশী রাষ্ট্র গড়ে তোলা” এবং “তাদের সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখা”

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “চীন-বাংলাদেশ-পাকিস্তান ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি। এটি কোনোভাবেই তৃতীয় কোনো পক্ষবিরোধী জোট নয় এবং এই প্রস্তাব নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেনি।”

রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনের অবস্থান তুলে ধরে ইয়াও ওয়েন বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনই একমাত্র টেকসই সমাধান। তিনি জানান, চীন বাংলাদেশ ও মিয়ানমার—উভয় পক্ষের সঙ্গেই আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, তবে রাখাইনে নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে বর্তমানে প্রত্যাবাসন সম্ভব নয়।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, “চীন বিশ্বাস করে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে।”

সম্প্রতি বাংলাদেশে চীনের তৈরি একটি যুদ্ধবিমানের দুর্ঘটনা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইয়াও ওয়েন জানান, চীন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিচ্ছে এবং দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল খুব শিগগিরই ঢাকা সফর করবে।

চীনা রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ নীতি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, যা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অস্থিরতা বাড়াতে পারে।

Tag :

তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রস্তুত চীন: চীনা রাষ্ট্রদূত

আপডেট সময় : ০৭:০২:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

তিস্তা বহুমুখী প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তবে এ বিষয়ে এখন বাংলাদেশের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে বেইজিং।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিক্যাব টকে বক্তব্য দেন চীনা রাষ্ট্রদূত। এ সময় তিনি বাংলাদেশ-চীন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, রোহিঙ্গা সংকট এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতামত দেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, “তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাংলাদেশকেই।” উল্লেখ্য, তিস্তা নদীর পানি ব্যবস্থাপনা, কৃষি, সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচিত এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত।

চীনা রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে চায় চীন, যার লক্ষ্য হবে “উন্নত ও সমৃদ্ধ প্রতিবেশী রাষ্ট্র গড়ে তোলা” এবং “তাদের সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখা”

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “চীন-বাংলাদেশ-পাকিস্তান ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি। এটি কোনোভাবেই তৃতীয় কোনো পক্ষবিরোধী জোট নয় এবং এই প্রস্তাব নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেনি।”

রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনের অবস্থান তুলে ধরে ইয়াও ওয়েন বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনই একমাত্র টেকসই সমাধান। তিনি জানান, চীন বাংলাদেশ ও মিয়ানমার—উভয় পক্ষের সঙ্গেই আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, তবে রাখাইনে নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে বর্তমানে প্রত্যাবাসন সম্ভব নয়।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, “চীন বিশ্বাস করে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে।”

সম্প্রতি বাংলাদেশে চীনের তৈরি একটি যুদ্ধবিমানের দুর্ঘটনা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইয়াও ওয়েন জানান, চীন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিচ্ছে এবং দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল খুব শিগগিরই ঢাকা সফর করবে।

চীনা রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ নীতি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, যা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অস্থিরতা বাড়াতে পারে।