ঢাকা ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই শহীদ ও যোদ্ধাদের সহায়তায় সেনাবাহিনীর অগ্রণী ভূমিকা তুলে ধরলেন সারজিস

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৯:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

লাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের পরিবারকে সহায়তায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বিশেষভাবে সেনাপ্রধানের অব্যাহত ভূমিকাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।

রোববার (২৭ জুলাই) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি লেখেন, “২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে প্রায় প্রতিটি শনিবার সেনাপ্রধান নিজে ঢাকা সিএমএইচে গিয়ে সেখানে চিকিৎসাধীন আহতদের খোঁজখবর নিয়েছেন। সব উপদেষ্টার সম্মিলিত ভিজিটের চেয়ে এই ব্যক্তিগত উপস্থিতি বেশি ও ধারাবাহিক।”

সারজিস আলম দাবি করেন, সবচেয়ে গুরুতর আহতদের মানসম্মত চিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং তাদের চিকিৎসা ব্যয়ে সর্বোচ্চ ব্যয়বহুল সহায়তা এসেছে ঢাকা সিএমএইচের মাধ্যমে। এই সহায়তায় জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং সেনাপ্রধান ছিলেন সবচেয়ে সক্রিয়।

একই পোস্টে তিনি বলেন,“অভ্যুত্থানের প্রায় এক বছর হতে চললেও প্রধান উপদেষ্টা এখনও শহীদ পরিবারের সঙ্গে একবারের জন্যও বসেননি। সরকারের পক্ষ থেকে এই আগস্টেও এমন কোনো কর্মসূচি নেই।”

তিনি আরও দাবি করেন, ৫ আগস্টে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে শহীদ পরিবারদের একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পরিকল্পনা থাকলেও তা প্রতীকী মাত্র, যা শহীদ পরিবারের সঙ্গে প্রকৃত যোগাযোগের বিকল্প হতে পারে না।

সারজিস বলেন, “সব শহীদ পরিবারের উচিত সেই প্রোগ্রাম বয়কট করা। কারণ, অন্তর্বর্তীকালীন একটি সরকার যদি এক বছরে মাত্র একবারও একসঙ্গে বসার সক্ষমতা না দেখায়, তবে তা সরকারের একটি বড় ব্যর্থতা হিসেবেই বিবেচিত হবে।”

Tag :

জুলাই শহীদ ও যোদ্ধাদের সহায়তায় সেনাবাহিনীর অগ্রণী ভূমিকা তুলে ধরলেন সারজিস

আপডেট সময় : ০৮:৩৯:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

লাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের পরিবারকে সহায়তায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বিশেষভাবে সেনাপ্রধানের অব্যাহত ভূমিকাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।

রোববার (২৭ জুলাই) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি লেখেন, “২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে প্রায় প্রতিটি শনিবার সেনাপ্রধান নিজে ঢাকা সিএমএইচে গিয়ে সেখানে চিকিৎসাধীন আহতদের খোঁজখবর নিয়েছেন। সব উপদেষ্টার সম্মিলিত ভিজিটের চেয়ে এই ব্যক্তিগত উপস্থিতি বেশি ও ধারাবাহিক।”

সারজিস আলম দাবি করেন, সবচেয়ে গুরুতর আহতদের মানসম্মত চিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং তাদের চিকিৎসা ব্যয়ে সর্বোচ্চ ব্যয়বহুল সহায়তা এসেছে ঢাকা সিএমএইচের মাধ্যমে। এই সহায়তায় জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং সেনাপ্রধান ছিলেন সবচেয়ে সক্রিয়।

একই পোস্টে তিনি বলেন,“অভ্যুত্থানের প্রায় এক বছর হতে চললেও প্রধান উপদেষ্টা এখনও শহীদ পরিবারের সঙ্গে একবারের জন্যও বসেননি। সরকারের পক্ষ থেকে এই আগস্টেও এমন কোনো কর্মসূচি নেই।”

তিনি আরও দাবি করেন, ৫ আগস্টে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে শহীদ পরিবারদের একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পরিকল্পনা থাকলেও তা প্রতীকী মাত্র, যা শহীদ পরিবারের সঙ্গে প্রকৃত যোগাযোগের বিকল্প হতে পারে না।

সারজিস বলেন, “সব শহীদ পরিবারের উচিত সেই প্রোগ্রাম বয়কট করা। কারণ, অন্তর্বর্তীকালীন একটি সরকার যদি এক বছরে মাত্র একবারও একসঙ্গে বসার সক্ষমতা না দেখায়, তবে তা সরকারের একটি বড় ব্যর্থতা হিসেবেই বিবেচিত হবে।”