ঢাকা ১২:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“মার্কিন স্বার্থে মানবাধিকার মিশন খুলতে দেওয়া হবে না” — হেফাজতের হুঁশিয়ারি

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:২৩:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) স্থাপনে চুক্তি স্বাক্ষরের প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। শনিবার (১৯ জুলাই) এক বিবৃতিতে সংগঠনটির আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী এবং মহাসচিব সাজেদুর রহমান এই উদ্যোগকে “মার্কিন স্বার্থে পরিচালিত” বলে আখ্যায়িত করে তা বাতিলের আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, “নাগরিকদের মতামত ও উলামায়ে কেরামের উদ্বেগ উপেক্ষা করে সরকার এই চুক্তি করেছে, যা একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের দৃষ্টান্ত।” তারা স্পষ্ট করে বলেন, “মার্কিন স্বার্থে তাঁবেদার জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস এ দেশে হতে দেওয়া যায় না।” হেফাজতের দাবি, এটি কেবল বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের পথ উন্মুক্ত করবে।

দুই নেতা প্রশ্ন তোলেন, “যেখানে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস সাধারণত যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতে খোলা হয়, সেখানে বাংলাদেশে এমন মিশনের প্রয়োজনীয়তা রহস্যজনক।” তারা দাবি করেন, বাংলাদেশে “জুলাই বিপ্লবের” ধারাবাহিকতায় চলমান সংস্কার ও দাবি বাস্তবায়ন হলেই মানবাধিকার সুরক্ষায় আলাদা বিদেশি হস্তক্ষেপের প্রয়োজন পড়বে না।

বিবৃতিতে হেফাজতের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, সরকার চুক্তি বাতিল না করলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। তারা এটিকে “দেশের নৈতিকতা, সংস্কৃতি ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন” বলে আখ্যা দেন।

Tag :

“মার্কিন স্বার্থে মানবাধিকার মিশন খুলতে দেওয়া হবে না” — হেফাজতের হুঁশিয়ারি

আপডেট সময় : ০৮:২৩:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) স্থাপনে চুক্তি স্বাক্ষরের প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। শনিবার (১৯ জুলাই) এক বিবৃতিতে সংগঠনটির আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী এবং মহাসচিব সাজেদুর রহমান এই উদ্যোগকে “মার্কিন স্বার্থে পরিচালিত” বলে আখ্যায়িত করে তা বাতিলের আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, “নাগরিকদের মতামত ও উলামায়ে কেরামের উদ্বেগ উপেক্ষা করে সরকার এই চুক্তি করেছে, যা একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের দৃষ্টান্ত।” তারা স্পষ্ট করে বলেন, “মার্কিন স্বার্থে তাঁবেদার জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস এ দেশে হতে দেওয়া যায় না।” হেফাজতের দাবি, এটি কেবল বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের পথ উন্মুক্ত করবে।

দুই নেতা প্রশ্ন তোলেন, “যেখানে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস সাধারণত যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতে খোলা হয়, সেখানে বাংলাদেশে এমন মিশনের প্রয়োজনীয়তা রহস্যজনক।” তারা দাবি করেন, বাংলাদেশে “জুলাই বিপ্লবের” ধারাবাহিকতায় চলমান সংস্কার ও দাবি বাস্তবায়ন হলেই মানবাধিকার সুরক্ষায় আলাদা বিদেশি হস্তক্ষেপের প্রয়োজন পড়বে না।

বিবৃতিতে হেফাজতের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, সরকার চুক্তি বাতিল না করলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। তারা এটিকে “দেশের নৈতিকতা, সংস্কৃতি ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন” বলে আখ্যা দেন।