২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। গণ-অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান হাসিনা।এর তিন দিন পর ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান সাংবাদিক শফিকুল আলম, ওই সময় যিনি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপির বাংলাদেশ ব্যুরো প্রধান ছিলেন। শফিকুল আলম দুই দশক ধরে এএফপিতে কাজ করেছেন।
সরকারের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন ১০ মাস হলো। এরমধ্যে নিজের অর্জন ও কাজ করতে গিয়ে নানান অভিজ্ঞতার কথা সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরেছেন তিনি।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (২ জুলাই) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন প্রেস সচিব। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পরবর্তীতে কোনো রাজনৈতিক দলে তিনি যোগ দেবেন না, বরং সাংবাদিকতা ও লেখালেখির জীবনেই ফিরে যেতে চান।
প্রেস সচিব বলেন, “আমার কিছু বন্ধু বলেছেন আমি নাকি কোনো বড় রাজনৈতিক দলে বা সদ্য গঠিত একটি দলে যোগ দিতে যাচ্ছি। কিন্তু সোজা কথায় বলি— আমি কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি আসক্ত নই। একজন এমপি বা রাজনৈতিক ‘বিগ শট’ হয়ে যে ধরনের জীবনযাপন করতে হয়, তাতে আমার কোনো আগ্রহ নেই।”
তিনি আরও বলেন, ‘সিঙ্গাপুর বা ইউরোপের মতো দেশে রাজনৈতিক নেতৃত্বে ভালো আর্থিক সুবিধা থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে রাজনীতি করে ভালো থাকা মানেই দুর্নীতির পথে যাওয়া। আমি সে পথে হাঁটতে চাই না।’
প্রেস সচিব জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব শেষ হলে তিনি সাংবাদিকতা ও লেখালেখির জগতে পূর্ণভাবে ফিরে আসতে চান।
তার ভাষায়, “আমার কিছু বই লেখার পরিকল্পনা আছে। আমি চাইলে সারা জীবন শুধু জুলাই বিপ্লব নিয়েই লিখে যেতে পারি। আমি জীবনে এত স্বতঃস্ফূর্ত, সাহসী ও ব্যাপক রাজনৈতিক সংগ্রাম আর দেখিনি। রবার্ট কেরো যেমন তার জীবন উৎসর্গ করেছেন লিন্ডন জনসনের ওপর লেখালেখিতে, আমিও তেমনি ‘জুলাই বিপ্লব’ নিয়ে কাজ করে যেতে পারি। যদিও কেউ কেউ ‘বিপ্লব’ শব্দটা পছন্দ করেন না।”a

অনলাইন ডেস্ক 















