রাজধানীসহ বিভাগীয় শহর, জেলা এমনকি উপজেলায়ও বিভিন্ন কর্পোরেট শিল্প প্রতিষ্ঠান নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র গড়ে তুলছে। নিজেদের উৎপাদিত পন্য বিক্রির আড়ালে এসব শোরুমের কি পরিমান ভ্যাট ফাকি দেওয়া হচ্ছে তা রাজস্ব বিভাগ তদন্ত করলে বের হয়ে আসবে আসল রহস্য। এক্ষেত্রে প্রধানত ডুয়েল করে কর্পোরেট ভ্যাট ফাকি দেওয়া হচ্ছে। পুরো দেশ জুড়ে বেশি সংখ্যক শোরুম স্থাপন করেছে প্রাণ গ্রুপ আরএফএল। এদের শোরুমের সংখ্যা প্রায় ১৮০০ মত। এরপর আসে ওয়ালটন এর নাম। এই ডুয়েল কৌশল বন্ধ না করে এন এন বিআর ঘুমিয়ে থাকলে আগামীতে রাজস্ব আহরণ চিত্র হবে আরো ভয়াবহ।
এনবিআর কর্তৃপক্ষ থেকে পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ৫% সাড়ে সাত পার্সেন্ট, ১০% রকম এবং দেশীয় উৎপাদনকারীদের থেকে ডিলারদের জন্য ভিন্ন। কিন্তু একই ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের গ্রুপ প্রতিষ্ঠানের আমদানি ফিনিশড গুডস, উৎপাদন ও ডিস্ট্রিবিউশন নিয়ে নির্দেশনা বা স্পষ্ট বিধি নিষেধ আরোপ করেনি এনবিআর কর্তৃপক্ষ। ফলে এই সুযোগ ব্যবহার করে ভ্যাট ফাঁকিতে এসব গ্রুপের দূরত্ব এমন ভয়ানক হতে শুরু করেছে যে, একটি শিল্প গ্রুপ ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে অর্থনীতিকে ব্রেকআপ করার মত মাফিয়া শক্তিতে পরিণত হয়েছে। ডুয়েল করার কৌশল লুকিয়ে রয়েছে এখানেই। একই কর্পোরেট গ্রুপের মালিকানাধীন কোম্পানি যার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম একরকম পণ্যের নাম আরেকরকম এবং এজেন্টের নামও ভিন্ন ভিন্ন। সবাই নিজেরা। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের পণ্য কারখানা থেকে শোরুমে আনা হলে চালানসহ আসার কথা। চালান দেখে ১৫% ভ্যাট চালান সহ সেসব বিক্রি করে। কিন্তু নিজস্ব শোরুমে উৎপাদন করা পণ্য আসছে এবং তা বিক্রি হচ্ছে সাড়ে সাত পার্সেন্ট ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে। কম্পিউটার, ল্যাপটপ নিয়ে শোরুম গুলোতে সাদা কাগজ বা প্যাডে ভ্যাটযুক্ত দেখিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে পণ্য সামগ্রী। শোরুম নেওয়া ম্যানুফ্যাকচারিং গ্রুপ অফ কোম্পানি অন্য ব্যক্তি ও ভ্যাট দেখানো হচ্ছে এজেন্টের নামে যেটার ঘোষণা ব্যবসায়ী বা ট্রেডার্স অথবা ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে। উক্ত এজেন্ট বা ডিস্ট্রিবিউটরও উক্ত কর্পোরেট শোরুম নিজেদের, শুধু নাম ভিন্ন। নিজেদের উৎপাদিত পণ্য ভিন্ন ভিন্ন প্রোডাক্ট ভিন্ন ভিন্ন এজেন্টদের নামে নিজস্ব শোরুম ছাড়াও অসংখ্য সাধারণ দোকানে এই ফর্মুলায় সরবরাহ দিচ্ছে তারা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি ঢাকার বাইরে প্রাণ আর এফএল একটি শোরুমে বিজলী ক্যাবল স বিক্রির ক্ষেত্রে এ ধরনের ডুয়েল করে ভ্যাট কারচুপির সন্ধান পেয়েছে বলে জানা গেছে। একইভাবে পারটেক্স, বিবিএস, ওয়ালটন, এসিআই, বিআরবি সহ অন্যান্য কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এই ডুয়াল করে ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছে কিনা তা খোঁজ নিলেই বের হবে অনেক রহস্য।
ম্যানুফ্যাকচারিং হিসাবে পণ্যের ভ্যাট ১৫% ব্যবসায়ী হিসেবে ভ্যাট সাড়ে ৭%। কর্পোরেট শোরুমে আমদানি করা পণ্যের ভ্যাট সাড়ে সাত পার্সেন্ট এর সাথে একই হারএ তারা ম্যানুফ্যাকচারিং পন্য ও বিক্রি করছে। যেখানে সরাসরি ভ্যাট ফাঁকি হচ্ছে সাড়ে ৭% এবং এজেন্ট এর মাধ্যমে এই ভ্যাট হওয়ার কথা সাড়ে ২২ পারসেন্ট সেখানে ভ্যাট ফাঁকি হচ্ছদ ১৫%। প্রতিদিন দেড় জুড়ে এদের হাজার হাজার শোরুম হিসাব করলে শত কোটি টাকা ফাঁকি করছে তা এনবিআর দেখছে?
উক্ত বিষয়টি নিয়ে ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।
শিরোনাম :
কর্পোরেট শোরুমের আড়ালে রাজস্ব ফাঁকি
-
বিশেষ প্রতিবেদক - আপডেট সময় : ১২:৪৪:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
- ১৯৪ বার পড়া হয়েছে
Tag :





















