ঢাকা ১২:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করল যুক্তরাষ্ট্র

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৯:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের মানবিক ভূমিকার প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত জনগণকে আশ্রয় দিয়ে চলা এশিয়ার অন্যান্য দেশের ভূমিকাও স্বীকৃতি দিয়েছে ওয়াশিংটন।

রোববার (২৪ আগস্ট) স্থানীয় সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক প্রেস বিবৃতিতে এসব কথা বলেন দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপারসন টমাস “টমি” পিগট।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের জনগণের প্রতি অটল সংহতি প্রকাশ করছে—বিশেষ করে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর প্রতি, যারা সহিংসতা ও নিপীড়নের শিকার হয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে যে মানবিক দায়িত্ব পালন করে চলেছে, যুক্তরাষ্ট্র তার গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। একইসঙ্গে ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশকেও ধন্যবাদ জানানো হচ্ছে, যারা মিয়ানমারের শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে এগিয়ে এসেছে।”

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের পরপরই সৃষ্ট সহিংসতায় প্রাণ বাঁচাতে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগেও চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছিল।

বর্তমানে কক্সবাজার ও ভাসানচরের বিভিন্ন ক্যাম্পে প্রায় ১৩ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন। প্রতি বছর প্রায় ৩০ হাজার শিশু জন্ম নিচ্ছে এসব ক্যাম্পে, যা সংকটকে আরও জটিল করে তুলছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিটি এমন সময় এলো, যখন কক্সবাজারে চলছে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছামূলক প্রত্যাবাসনের পথ খুঁজে বের করা এবং আন্তর্জাতিক সহায়তা নিশ্চিত করা।

Tag :

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করল যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় : ০৬:৫৯:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের মানবিক ভূমিকার প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত জনগণকে আশ্রয় দিয়ে চলা এশিয়ার অন্যান্য দেশের ভূমিকাও স্বীকৃতি দিয়েছে ওয়াশিংটন।

রোববার (২৪ আগস্ট) স্থানীয় সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক প্রেস বিবৃতিতে এসব কথা বলেন দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপারসন টমাস “টমি” পিগট।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের জনগণের প্রতি অটল সংহতি প্রকাশ করছে—বিশেষ করে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর প্রতি, যারা সহিংসতা ও নিপীড়নের শিকার হয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে যে মানবিক দায়িত্ব পালন করে চলেছে, যুক্তরাষ্ট্র তার গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। একইসঙ্গে ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশকেও ধন্যবাদ জানানো হচ্ছে, যারা মিয়ানমারের শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে এগিয়ে এসেছে।”

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের পরপরই সৃষ্ট সহিংসতায় প্রাণ বাঁচাতে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগেও চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছিল।

বর্তমানে কক্সবাজার ও ভাসানচরের বিভিন্ন ক্যাম্পে প্রায় ১৩ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন। প্রতি বছর প্রায় ৩০ হাজার শিশু জন্ম নিচ্ছে এসব ক্যাম্পে, যা সংকটকে আরও জটিল করে তুলছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিটি এমন সময় এলো, যখন কক্সবাজারে চলছে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছামূলক প্রত্যাবাসনের পথ খুঁজে বের করা এবং আন্তর্জাতিক সহায়তা নিশ্চিত করা।