নিজস্ব প্রতিবেদন
বাংলাদেশ কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগে কর্মরত বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলনের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ে ব্যাঘাত সৃষ্টি এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে অচলাবস্থা তৈরির চেষ্টার অভিযোগে তিন শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর তালিকা ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী “কাফনের কাপড় পরে” আন্দোলনে অংশ নেন এবং বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও সংবাদমাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বক্তব্য দেন। তারা মনে করেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শৃঙ্খলা ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়, আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন অতিরিক্ত কমিশনার মানস কুমার বর্মন (কাস্টমস ঢাকা দক্ষিণ কমিশনারেট), কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান মজিব, মো. মাজহারুল ইসলামসহ আরও অনেকে। এছাড়া, বাকাস ও বাকাএভ-এর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারাও আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন: মো. আলহেলাল তাজ (সিপাই মহাসচিব, বাকাস), মো. মাহবুব হোসাইন (সহ-সভাপতি, বাকাস),
মো. শামসুদ্দিন, মো. বাবুল হোসেন, মো. আবুল হোসেন, মো. মনজুরুল ইসলাম, মো. আবুল কাশেম তুহিন, মো. রাজিব হোসেন, মো. আবু সাঈদ ও মো. মিজানুর রহমানসহ আরও অনেকে।
অংশগ্রহণ না করা অনেক কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো দাবি জানিয়েছে, সরকারি চাকরির নিয়ম ভঙ্গ করে সরকারবিরোধী কার্যক্রমে যুক্ত হওয়া কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত অনেককে ইতোমধ্যে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে এবং কিছু কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর মতে, সরকারের রাজস্ব আদায়ে বিঘ্ন সৃষ্টি করে এমন কর্মকাণ্ড দেশের অর্থনীতির জন্য মারাত্মক হুমকি। তারা সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক 



















