ঢাকা ০৩:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোলাগঞ্জে কোটি টাকার পাথর লুট: ৫ জন আটক, মামলা ২ হাজার জনের বিরুদ্ধে

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

সিলেটের ভোলাগঞ্জে সরকারি কোয়ারি থেকে কোটি টাকার সাদাপাথর লুটের অভিযোগে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা দুই হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাতে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হাবীব বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে কিছু দুষ্কৃতকারী গেজেটভুক্ত ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি এলাকা থেকে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ সাদাপাথর উত্তোলন ও লুটপাট করে আসছে। এতে সরকারের কোটি টাকার সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অভিযুক্তদের সুনির্দিষ্ট পরিচয় এখনো শনাক্ত হয়নি।

পাথর লুটের এই ঘটনায় খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২-এর ধারা ৪(২)(ঞ) এবং খনিজ সম্পদ বিধিমালা, ২০১২-এর বিধি ৯৩(১) স্পষ্টভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ৩৭৯ (চুরি) ও ৪৩১ (সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি সাধন) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

এদিকে পুলিশ জানায়, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং লুটপাটে জড়িত অন্যদের শনাক্তে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত সিলেটের বিভিন্ন এলাকা থেকে আনুমানিক ১ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পরিবেশবিদ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, গত এক বছরে সিলেট অঞ্চলে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ ঘনফুট পাথর লুট হয়েছে, যার বাজারমূল্য দুই শত কোটি টাকারও বেশি।

স্থানীয় প্রশাসন এবং পরিবেশ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বলছে, অবৈধ পাথর উত্তোলন শুধু সরকারি রাজস্ব হানির কারণ নয়, এটি পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্যও মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে।

মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে এবং পাথর লুটে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ ও খনিজ ব্যুরো।

Tag :

ভোলাগঞ্জে কোটি টাকার পাথর লুট: ৫ জন আটক, মামলা ২ হাজার জনের বিরুদ্ধে

আপডেট সময় : ০৬:০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

সিলেটের ভোলাগঞ্জে সরকারি কোয়ারি থেকে কোটি টাকার সাদাপাথর লুটের অভিযোগে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা দুই হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাতে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হাবীব বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে কিছু দুষ্কৃতকারী গেজেটভুক্ত ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি এলাকা থেকে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ সাদাপাথর উত্তোলন ও লুটপাট করে আসছে। এতে সরকারের কোটি টাকার সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অভিযুক্তদের সুনির্দিষ্ট পরিচয় এখনো শনাক্ত হয়নি।

পাথর লুটের এই ঘটনায় খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২-এর ধারা ৪(২)(ঞ) এবং খনিজ সম্পদ বিধিমালা, ২০১২-এর বিধি ৯৩(১) স্পষ্টভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ৩৭৯ (চুরি) ও ৪৩১ (সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি সাধন) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

এদিকে পুলিশ জানায়, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং লুটপাটে জড়িত অন্যদের শনাক্তে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত সিলেটের বিভিন্ন এলাকা থেকে আনুমানিক ১ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পরিবেশবিদ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, গত এক বছরে সিলেট অঞ্চলে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ ঘনফুট পাথর লুট হয়েছে, যার বাজারমূল্য দুই শত কোটি টাকারও বেশি।

স্থানীয় প্রশাসন এবং পরিবেশ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বলছে, অবৈধ পাথর উত্তোলন শুধু সরকারি রাজস্ব হানির কারণ নয়, এটি পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্যও মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে।

মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে এবং পাথর লুটে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ ও খনিজ ব্যুরো।