ঢাকা ১২:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হঠাৎ বাজারে আগুন: নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমূল্যে দিশেহারা সীমিত আয়ের মানুষ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
  • ২৭ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। সবজি থেকে শুরু করে চাল, ডিম, মুরগি, মাছ—প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। বাজারে গিয়ে প্রতিদিনই নতুন দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। এতে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন সীমিত আয়ের মানুষ।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলু ও পেঁপে ছাড়া প্রায় সব ধরনের সবজির দাম এখন ৭০ থেকে ১১০ টাকার মধ্যে।

কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২২০ টাকা কেজি,

বেগুন ১০০-১২০,

টম্যাটো ১৫০-১৮০,

গাজর ১৬০,

করলা ৮০-১০০ টাকা কেজি।

দেশি শসা বিক্রি হচ্ছে ১০০ এবং হাইব্রিড শসা ৭০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া বরবটি ১০০, পটোল, চিচিঙ্গা ও ধুন্দল ৭০-৮০, কচুর লতি ৮০, কচুর ছড়া ৬০-৮০, আর লাউ ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অলিগলির দোকানগুলোতেও একই চিত্র। ক্রেতারা বলছেন, একই দামে এক সপ্তাহ আগেও দ্বিগুণ পরিমাণ সবজি পাওয়া যেত।

গত তিন সপ্তাহে পিঁয়াজের দাম ৬০-৬৫ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০-৮৫ টাকায়। পাড়ার দোকানগুলোয় পিঁয়াজ ৯০-৯৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মিনিকেট চাল ৮৫-৯২, নাজিরশাইল ৮৪-৯০ এবং স্বর্ণা ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের পর থেকে চালের দামও ঊর্ধ্বমুখী।

ডিমের বাজারেও দেখা দিয়েছে অস্থিরতা।

ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন এখন ১৪৫-১৫০ টাকা,

হাঁসের ডিম ২২০ টাকা ডজন,

দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকা।

ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা কেজিতে,
সোনালি মুরগি ৩০০-৩৩০,
সোনালি কক ৩৭০,
দেশি মুরগি ৬৬০ টাকা কেজিতে।

মাছের বাজারেও দামের চাপে কাহিল ক্রেতারা।

রুই ৩৫০-৪০০,

কাতলা ৪০০,

পাঙাশ ২০০,

চিংড়ি ৮০০,

তেলাপিয়া ২৫০-২৮০,

মাঝারি সাইজের কই ২৮০-৩০০,

দেশি শিং ৭০০-৭৫০,

বড় সাইজের পাবদা ৫০০-৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সরবরাহ সংকট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ দায়ী: বিক্রেতারা

বিক্রেতারা বলছেন, টানা বৃষ্টি, পরিবহন সমস্যা ও উৎপাদন ঘাটতির কারণে পণ্যের সরবরাহ কমে গেছে। ফলে দাম বেড়ে গেছে। আড়তে সবজির সরবরাহ এখন আগের চেয়ে অনেক কম। অনেক পিঁয়াজ বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে, তাই সরবরাহ কম, দাম বেশি।

তারা আরও জানান, সামনের দিনে দাম কমার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই—বরং সরবরাহ ঠিক না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

ভুক্তভোগীরা বলছেন…

নিম্নবিত্ত পরিবারের একজন গৃহবধূ বলেন, “প্রতিদিন বাজারে গিয়ে নতুন দামে সবজি কিনতে হয়। এত দাম দিয়ে কিছুই কেনা যায় না। এক কেজি বেগুন ১২০ টাকা! এই অবস্থায় চলা মুশকিল।”

Tag :

হঠাৎ বাজারে আগুন: নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমূল্যে দিশেহারা সীমিত আয়ের মানুষ

আপডেট সময় : ০৬:৩৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। সবজি থেকে শুরু করে চাল, ডিম, মুরগি, মাছ—প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। বাজারে গিয়ে প্রতিদিনই নতুন দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। এতে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন সীমিত আয়ের মানুষ।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলু ও পেঁপে ছাড়া প্রায় সব ধরনের সবজির দাম এখন ৭০ থেকে ১১০ টাকার মধ্যে।

কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২২০ টাকা কেজি,

বেগুন ১০০-১২০,

টম্যাটো ১৫০-১৮০,

গাজর ১৬০,

করলা ৮০-১০০ টাকা কেজি।

দেশি শসা বিক্রি হচ্ছে ১০০ এবং হাইব্রিড শসা ৭০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া বরবটি ১০০, পটোল, চিচিঙ্গা ও ধুন্দল ৭০-৮০, কচুর লতি ৮০, কচুর ছড়া ৬০-৮০, আর লাউ ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অলিগলির দোকানগুলোতেও একই চিত্র। ক্রেতারা বলছেন, একই দামে এক সপ্তাহ আগেও দ্বিগুণ পরিমাণ সবজি পাওয়া যেত।

গত তিন সপ্তাহে পিঁয়াজের দাম ৬০-৬৫ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০-৮৫ টাকায়। পাড়ার দোকানগুলোয় পিঁয়াজ ৯০-৯৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মিনিকেট চাল ৮৫-৯২, নাজিরশাইল ৮৪-৯০ এবং স্বর্ণা ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের পর থেকে চালের দামও ঊর্ধ্বমুখী।

ডিমের বাজারেও দেখা দিয়েছে অস্থিরতা।

ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন এখন ১৪৫-১৫০ টাকা,

হাঁসের ডিম ২২০ টাকা ডজন,

দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকা।

ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা কেজিতে,
সোনালি মুরগি ৩০০-৩৩০,
সোনালি কক ৩৭০,
দেশি মুরগি ৬৬০ টাকা কেজিতে।

মাছের বাজারেও দামের চাপে কাহিল ক্রেতারা।

রুই ৩৫০-৪০০,

কাতলা ৪০০,

পাঙাশ ২০০,

চিংড়ি ৮০০,

তেলাপিয়া ২৫০-২৮০,

মাঝারি সাইজের কই ২৮০-৩০০,

দেশি শিং ৭০০-৭৫০,

বড় সাইজের পাবদা ৫০০-৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সরবরাহ সংকট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ দায়ী: বিক্রেতারা

বিক্রেতারা বলছেন, টানা বৃষ্টি, পরিবহন সমস্যা ও উৎপাদন ঘাটতির কারণে পণ্যের সরবরাহ কমে গেছে। ফলে দাম বেড়ে গেছে। আড়তে সবজির সরবরাহ এখন আগের চেয়ে অনেক কম। অনেক পিঁয়াজ বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে, তাই সরবরাহ কম, দাম বেশি।

তারা আরও জানান, সামনের দিনে দাম কমার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই—বরং সরবরাহ ঠিক না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

ভুক্তভোগীরা বলছেন…

নিম্নবিত্ত পরিবারের একজন গৃহবধূ বলেন, “প্রতিদিন বাজারে গিয়ে নতুন দামে সবজি কিনতে হয়। এত দাম দিয়ে কিছুই কেনা যায় না। এক কেজি বেগুন ১২০ টাকা! এই অবস্থায় চলা মুশকিল।”