আয়কর রিটার্ন সময়মতো জমা না দিলে বেতন-ভাতা প্রাপ্তিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সেবা পেতে জটিলতার সম্মুখীন হতে পারেন করদাতারা। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নতুন আয়কর নির্দেশিকায় রিটার্ন দাখিল না করলে পাঁচ ধরনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা যায়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল না করলে করদাতাদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে:
আয়কর আইনের ২৬৬ ধারা অনুযায়ী জরিমানা
১৭৪ ধারা অনুসারে কর অব্যাহতির সুযোগ সংকোচন
বকেয়া করের ওপর মাসিক ২ শতাংশ হারে সুদ
গ্যাস, বিদ্যুৎসহ পরিষেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন
বেতন-ভাতা প্রাপ্তিতে জটিলতা সৃষ্টি
এনবিআর আরও জানিয়েছে, টিআইএনধারী যেসব ব্যক্তির বার্ষিক আয় সাড়ে তিন লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়, তাদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি, ৩৯ ধরনের সরকারি ও বেসরকারি সেবা পেতে আয়কর রিটার্নের প্রমাণপত্র জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।
তবে কোনো করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিলে প্রযুক্তিগত সমস্যায় পড়লে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপকর কমিশনার বরাবর লিখিতভাবে আবেদন করে অতিরিক্ত বা যুগ্ম কর কমিশনারের অনুমোদন সাপেক্ষে কাগুজে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
গত অর্থবছরে ১৭ লাখের বেশি ব্যক্তি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন। বর্তমানে কর পরিশোধ ও রিটার্ন দাখিলের পুরো প্রক্রিয়া ঘরে বসেই অনলাইনে সম্পন্ন করা সম্ভব — ব্যাংক ট্রান্সফার, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, রকেট, নগদ ও অন্যান্য মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে।

অনলাইন ডেস্ক 



















