অনলাইন ডেস্ক 
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরাপদ করতে ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা ব্যবহার করবে বাংলাদেশ পুলিশ। এই ক্যামেরাগুলো ভোটকেন্দ্রে পুলিশের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে ৯ আগস্ট ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক উচ্চ পর্যায়ের সভায় এই উদ্যোগের বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ তৈয়ব আহমেদ ও খোদা বকস চৌধুরী।
ফয়েজ তৈয়ব আহমেদ জানিয়েছেন, বডি ক্যামেরাগুলো সরবরাহের জন্য জার্মানি, চীন ও থাইল্যান্ডের তিনটি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা চলছে। এই ক্যামেরাগুলো পুলিশ অফিসার এবং কনস্টেবলরা ভোটের দিন তাদের বুকে পরিধান করবেন। ক্যামেরাগুলো ব্যবহার করে ভোটকেন্দ্রগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিকতা বা সহিংসতার ঘটনা ঘটলে তা দ্রুত পর্যবেক্ষণ করা যাবে।
এছাড়া, পুলিশ বাহিনীকে ক্যামেরাগুলোর ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন করতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যে অক্টোবরে বডি ক্যামেরাগুলো সংগ্রহ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ফয়েজ তৈয়ব আহমেদ বলেন, “আমরা চাই পুলিশ বাহিনী যথাযথভাবে ক্যামেরাগুলোর এআই সক্ষমতা এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলির ওপর প্রশিক্ষণ পেয়ে নির্বাচনের সময় এগুলো ব্যবহার করতে সক্ষম হোক।”
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সভায় বলেন, “আমাদের অবশ্যই সমস্ত ভোটকেন্দ্রে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। খরচ যাই হোক না কেন, আমাদের লক্ষ্য হলো নির্বাচনের পরিবেশকে সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ রাখা।”
এছাড়া, সভায় নির্বাচনী অ্যাপ চালু করার পরিকল্পনাও আলোচিত হয়, যা ভোটারদের জন্য প্রার্থীর বিবরণ, ভোটকেন্দ্রের আপডেট এবং অভিযোগ জমা দেওয়ার ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন তথ্য প্রদান করবে। প্রধান উপদেষ্টা কর্মকর্তাদের অ্যাপটি দ্রুত চালু এবং ব্যবহারকারী বান্ধব নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
