ঢাকা ১০:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দলীয় বিভক্তির মাঝেই জাতীয় পার্টির ‘ঐক্যের সম্মেলন’ শুরু

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:২৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও নেতৃত্ব সংকটের মধ্যে রাজধানীর গুলশানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন। শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত নেতাকর্মীরা মিলনায়তন ও আশপাশের প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে স্লোগান ও ব্যান্ড বাদ্যের তালে সম্মেলনস্থলে যোগ দেন।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করছেন প্রবীণ নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। এ সময় জাতীয় পার্টির (জেপি) সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ও কাজী ফিরোজ রশিদসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ‘ঐক্যের ডাক’ দিয়ে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ শুক্রবার জানিয়েছিলেন, “এখানে ভাগাভাগির কোনো প্রশ্ন নেই, এটি এরশাদ সাহেবের ১২ নম্বর নিবন্ধিত জাতীয় পার্টির লাঙ্গল মার্কার সম্মেলন।”

দলটির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নতুন করে তীব্র হয় গত ৭ জুলাই, যখন চেয়ারম্যান জি এম কাদের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ ১০ নেতাকে অব্যাহতি দেন। অব্যাহতি পাওয়া নেতারা আদালতে গেলে ৩১ জুলাই আদালত জি এম কাদের ও যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমের সাংগঠনিক কার্যক্রমে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

এরপর গত মঙ্গলবার দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়। তিন দিন পর শুক্রবার গুলশানের হাওলাদার টাওয়ারে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মুজিবুল হক চুন্নু জাতীয় সম্মেলনের ঘোষণা দেন। তারা দাবি করেন, আদালতের নির্দেশে তারা দলে বহাল হয়েছেন এবং জি এম কাদের দলীয় কার্যক্রমে নিষিদ্ধ।

মুজিবুল হক চুন্নুর ভাষায়, এই সম্মেলনের লক্ষ্য “দলকে সাংগঠনিক স্থবিরতা থেকে মুক্ত করা” এবং এটি হবে “আত্মশুদ্ধি ও গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব পুনর্গঠনের” একটি মঞ্চ। তাদের মতে, সাম্প্রতিক বিভ্রান্তি কাটিয়ে জাতীয় পার্টি নতুন ঐক্য, শৃঙ্খলা ও দায়িত্বশীলতার বার্তা নিয়ে পুনরায় আত্মপ্রকাশ করছে।

Tag :

দলীয় বিভক্তির মাঝেই জাতীয় পার্টির ‘ঐক্যের সম্মেলন’ শুরু

আপডেট সময় : ০৯:২৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫

অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও নেতৃত্ব সংকটের মধ্যে রাজধানীর গুলশানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন। শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত নেতাকর্মীরা মিলনায়তন ও আশপাশের প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে স্লোগান ও ব্যান্ড বাদ্যের তালে সম্মেলনস্থলে যোগ দেন।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করছেন প্রবীণ নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। এ সময় জাতীয় পার্টির (জেপি) সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ও কাজী ফিরোজ রশিদসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ‘ঐক্যের ডাক’ দিয়ে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ শুক্রবার জানিয়েছিলেন, “এখানে ভাগাভাগির কোনো প্রশ্ন নেই, এটি এরশাদ সাহেবের ১২ নম্বর নিবন্ধিত জাতীয় পার্টির লাঙ্গল মার্কার সম্মেলন।”

দলটির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নতুন করে তীব্র হয় গত ৭ জুলাই, যখন চেয়ারম্যান জি এম কাদের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ ১০ নেতাকে অব্যাহতি দেন। অব্যাহতি পাওয়া নেতারা আদালতে গেলে ৩১ জুলাই আদালত জি এম কাদের ও যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমের সাংগঠনিক কার্যক্রমে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

এরপর গত মঙ্গলবার দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়। তিন দিন পর শুক্রবার গুলশানের হাওলাদার টাওয়ারে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মুজিবুল হক চুন্নু জাতীয় সম্মেলনের ঘোষণা দেন। তারা দাবি করেন, আদালতের নির্দেশে তারা দলে বহাল হয়েছেন এবং জি এম কাদের দলীয় কার্যক্রমে নিষিদ্ধ।

মুজিবুল হক চুন্নুর ভাষায়, এই সম্মেলনের লক্ষ্য “দলকে সাংগঠনিক স্থবিরতা থেকে মুক্ত করা” এবং এটি হবে “আত্মশুদ্ধি ও গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব পুনর্গঠনের” একটি মঞ্চ। তাদের মতে, সাম্প্রতিক বিভ্রান্তি কাটিয়ে জাতীয় পার্টি নতুন ঐক্য, শৃঙ্খলা ও দায়িত্বশীলতার বার্তা নিয়ে পুনরায় আত্মপ্রকাশ করছে।