তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার রূপকল্প হচ্ছে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’। এটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার দালিলিক প্রমাণ। রাজনৈতিক দলসমূহের মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদ তৈরির কাজ চলছে এবং ৫ আগস্ট বা তার আগেই এটি স্বাক্ষরিত হবে।’
গতকাল সকালেই জুলাই গণ-অভ্যুত্থান বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীতে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিটি ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। র্যালির নেতৃত্ব দেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা এবং মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
জুলাই পুনর্জাগরণের এই সরকারি র্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা গণ-অভ্যুত্থানকেন্দ্রিক বার্তাবহুল প্ল্যাকার্ড বহন করেন।
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আরও জানান, ‘জুলাই অভ্যুত্থান জনস্মৃতিতে রাখতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ বেতার ও বিটিভি গণ-অভ্যুত্থানকেন্দ্রিক প্রামাণ্যচিত্র ও অনুষ্ঠান প্রচার করছে। তথ্য অধিদপ্তর ও প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজ করছে। চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে বেশ কিছু প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেছে এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ দলিলাদি সংরক্ষণে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এছাড়া, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট শহীদ ও আহত সাংবাদিকদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে।’
তিনি স্মরণ করেন, ‘দলমত নির্বিশেষে মানুষ এই অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিল। শেষ পর্যায়ে সব পেশাজীবী, বিশেষ করে শিক্ষক, সমাজকর্মী ও সংস্কৃতিকর্মীরা রাজপথে নেমেছিলেন।’
মাহফুজ আলম বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ এবং আহতদের মর্মপীড়া অনুভব যতদিন থাকবে, ততদিন আমরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকব।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘শহীদদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা নতুনভাবে স্বাধীনতা পেয়েছি এবং নতুন দেশের গড়ার সুযোগ পেয়েছি। সেই কাজেই মনোনিবেশ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানাই।’

অনলাইন ডেস্ক 















