ঢাকা ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেই ৩ মিনিটই বাঁচিয়ে দেয় জাহাদকে

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৩০:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

ই সামান্য সময়টাই হয়তো নতুন এক জীবনের গল্প লিখে দিয়েছে ছোট্ট নূর জাহাদ বিন সাবাদ–কে ঘিরে।

রবিবার সকালে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় যেখানে প্রাণ গেছে ৩৪ জনের, আহত হয়েছেন অনেকে, সেখানেই ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেছে শিশু জাহাদ।

দুর্ঘটনার দিন স্কুল ছুটি হতেই মায়ের হাত ধরে বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছিল সে। ঠিক সেই সময়ই, মাত্র তিন মিনিট পর, বিকট শব্দে একটি যুদ্ধবিমান গড়িয়ে পড়ে স্কুল ভবনের ওপর। বিধ্বস্ত হয় জাহাদের ক্লাসরুমেই।

বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার আগে ক্লাসরুমে বসে বই গুছাচ্ছিল জাহাদ। তার বান্ধবী আফরিন তখনো ক্লাসে, কোচিংয়ের জন্য অপেক্ষা করছিল। ভাইয়ের দেরির কারণে বের হয়নি। আর ফেরেনি কখনও।

“আফরিনও বের হতে চেয়েছিল,” জানায় জাহাদ। “কিন্তু পারেনি। পরে শুনলাম—ওকে চেনা যায়নি, ডিএনএ টেস্ট করে চিনেছে।”

আজ, দুর্ঘটনার পর প্রথমবার বাবা মো. বিলু মিয়ার হাত ধরে স্কুলে আসে জাহাদ। জানালার পাশে দাঁড়িয়ে চেয়ে থাকে সেই পোড়া ভবনের দিকে। ফাঁকা বেঞ্চ, ছেঁড়া বই, পুড়ে যাওয়া দেয়াল—সব কিছু যেন এক বিভীষিকার স্মারক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

জাহাদের বাবা বলেন, “ঘটনার পর থেকেই ছেলেটা বদলে গেছে। সারাক্ষণ কাঁদে, ঘুমাতে চায় না, স্কুলে যেতে চায় না। আজ অনেক বুঝিয়েছি, আর রাখতে পারিনি। ও নিজেই জোর করেছিল স্কুলে আসতে।”

Tag :

সেই ৩ মিনিটই বাঁচিয়ে দেয় জাহাদকে

আপডেট সময় : ০৮:৩০:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

ই সামান্য সময়টাই হয়তো নতুন এক জীবনের গল্প লিখে দিয়েছে ছোট্ট নূর জাহাদ বিন সাবাদ–কে ঘিরে।

রবিবার সকালে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় যেখানে প্রাণ গেছে ৩৪ জনের, আহত হয়েছেন অনেকে, সেখানেই ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেছে শিশু জাহাদ।

দুর্ঘটনার দিন স্কুল ছুটি হতেই মায়ের হাত ধরে বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছিল সে। ঠিক সেই সময়ই, মাত্র তিন মিনিট পর, বিকট শব্দে একটি যুদ্ধবিমান গড়িয়ে পড়ে স্কুল ভবনের ওপর। বিধ্বস্ত হয় জাহাদের ক্লাসরুমেই।

বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার আগে ক্লাসরুমে বসে বই গুছাচ্ছিল জাহাদ। তার বান্ধবী আফরিন তখনো ক্লাসে, কোচিংয়ের জন্য অপেক্ষা করছিল। ভাইয়ের দেরির কারণে বের হয়নি। আর ফেরেনি কখনও।

“আফরিনও বের হতে চেয়েছিল,” জানায় জাহাদ। “কিন্তু পারেনি। পরে শুনলাম—ওকে চেনা যায়নি, ডিএনএ টেস্ট করে চিনেছে।”

আজ, দুর্ঘটনার পর প্রথমবার বাবা মো. বিলু মিয়ার হাত ধরে স্কুলে আসে জাহাদ। জানালার পাশে দাঁড়িয়ে চেয়ে থাকে সেই পোড়া ভবনের দিকে। ফাঁকা বেঞ্চ, ছেঁড়া বই, পুড়ে যাওয়া দেয়াল—সব কিছু যেন এক বিভীষিকার স্মারক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

জাহাদের বাবা বলেন, “ঘটনার পর থেকেই ছেলেটা বদলে গেছে। সারাক্ষণ কাঁদে, ঘুমাতে চায় না, স্কুলে যেতে চায় না। আজ অনেক বুঝিয়েছি, আর রাখতে পারিনি। ও নিজেই জোর করেছিল স্কুলে আসতে।”