রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের স্মরণে আজ সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৭ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী চিকিৎসক মো. সায়েদুর রহমান। আহত ৭৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন ঢাকার চারটি হাসপাতালে।
সকালে ক্যাম্পাসে আসেন প্রধানমন্ত্রীর আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার। উপদেষ্টারা কলেজের ৫ নম্বর ভবনের নিচতলায় অবস্থিত কনফারেন্স কক্ষে শিক্ষক এবং পাঁচ থেকে সাতজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তবে ভবনের বাইরে শত শত শিক্ষার্থী প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি পাঁচটি মূল বিষয়ের ওপর কেন্দ্রীভূত:
-
নিহতদের সঠিক নাম ও পরিচয় দ্রুত প্রকাশ।
-
আহতদের একটি নির্ভুল ও হালনাগাদ তালিকা।
-
নিহতদের পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও সরকারি সহায়তা।
-
ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো প্রশিক্ষণ বিমান বাতিল।
-
আধুনিক ও নিরাপদ প্রশিক্ষণ বিমান চালু।
সকাল ৯টায় শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করলে দিয়াবাড়ি আর্মি ক্যাম্পের পক্ষ থেকে মাইকিং করে জানানো হয়, ওই এলাকায় কোনও সভা-সমাবেশ বা দলবদ্ধ কর্মসূচি পালন করা যাবে না। তবে শিক্ষার্থীরা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর মাইলস্টোন কলেজে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। হায়দার আলী হোস্টেলসহ বিভিন্ন আবাসিক ভবন থেকে শিক্ষার্থীদের হোস্টেল ছাড়তে দেখা গেছে। অভিভাবকেরা এসে সন্তানদের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন।
কলেজের পরিচালক রাসেল তালুকদার জানান, কলেজের ১ নম্বর ভবনের নিচে একটি হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে। সেখানে শিক্ষকরা হতাহতদের তথ্য হালনাগাদ করছেন, অভিভাবকদের সহায়তা করছেন।
সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন কলেজ ভবনে বিধ্বস্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ বহু প্রাণহানি ঘটেছে এবং সারা দেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

অনলাইন ডেস্ক 















