ঢাকা ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সোহাগ হত্যা: আদালতে মহিনের স্বীকারোক্তি, উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:২৯:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রবিবার (২০ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

জবানবন্দিতে মহিন দাবি করেন, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনা ছিল পলাতক আসামি সারওয়ার হোসেন টিটুর, তার নয়। সোহাগের সঙ্গে তার কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না। বরং বিগত সরকারের আমলে ব্যবসা সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব, নিপীড়ন ও দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার ছিল মূল কারণ।

ঘটনার দিন তারা সোহাগকে কেবল হুমকি দিতে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন মহিন। তবে এক পর্যায়ে বাকবিতণ্ডা থেকে সংঘর্ষ বেধে যায় এবং পাথর দিয়ে আঘাত করে সোহাগকে হত্যা করা হয়।

মহিন জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সোহাগ এককভাবে ভাঙারি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন। টিটু ও মহিন সেই সময় বঞ্চিত ছিলেন। সরকার পরিবর্তনের পর তারা নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলেই সোহাগ বাধা হয়ে দাঁড়ান। সেই উত্তেজনার রেশ ধরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে জানান তিনি।

সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ব্যাখ্যায় মহিন বলেন, “সোহাগ দীর্ঘদিন ধরে সবাইকে হয়রানি করছিল। সেই জমে থাকা ক্ষোভ থেকেই পাথর দিয়ে হামলা চালায় টিটু ও তার অনুসারীরা।”

Tag :

সোহাগ হত্যা: আদালতে মহিনের স্বীকারোক্তি, উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

আপডেট সময় : ০৬:২৯:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রবিবার (২০ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

জবানবন্দিতে মহিন দাবি করেন, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনা ছিল পলাতক আসামি সারওয়ার হোসেন টিটুর, তার নয়। সোহাগের সঙ্গে তার কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না। বরং বিগত সরকারের আমলে ব্যবসা সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব, নিপীড়ন ও দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার ছিল মূল কারণ।

ঘটনার দিন তারা সোহাগকে কেবল হুমকি দিতে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন মহিন। তবে এক পর্যায়ে বাকবিতণ্ডা থেকে সংঘর্ষ বেধে যায় এবং পাথর দিয়ে আঘাত করে সোহাগকে হত্যা করা হয়।

মহিন জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সোহাগ এককভাবে ভাঙারি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন। টিটু ও মহিন সেই সময় বঞ্চিত ছিলেন। সরকার পরিবর্তনের পর তারা নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলেই সোহাগ বাধা হয়ে দাঁড়ান। সেই উত্তেজনার রেশ ধরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে জানান তিনি।

সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ব্যাখ্যায় মহিন বলেন, “সোহাগ দীর্ঘদিন ধরে সবাইকে হয়রানি করছিল। সেই জমে থাকা ক্ষোভ থেকেই পাথর দিয়ে হামলা চালায় টিটু ও তার অনুসারীরা।”