ঢাকা ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কদমতলীতে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর কদমতলীতে ১৫ বছর আগে মা-মেয়েকে হত্যা করার ঘটনায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় অনুযায়ী, দণ্ডিতদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দিতে হবে।

রোববার (২০ জুলাই) ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নার্গিস ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন।

মো. আল আমিন,মো. মিরাজ মোল্লা, নুর আলম (পলাতক) আল আমিন ও মিরাজকে আদালতে হাজির করে রায় ঘোষণার পর কারাগারে পাঠানো হয়। তবে নুর আলম পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

২০১০ সালের ৮ মে, পারিবারিক কলহের জেরে ভিকটিম মোসাম্মৎ ইয়াসমিন আলম ও তার কন্যা ইরিনা আলম তানহাকে গলায় ফাঁস দিয়ে এবং হাত-পা বেঁধে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর নিহত ইয়াসমিনের ভাই মনির হোসেন কদমতলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ৩১ আগস্ট পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধ বিভাগের পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়। ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম তুষার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা রায়ে সন্তুষ্ট। এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”

Tag :

কদমতলীতে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় : ০৯:০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর কদমতলীতে ১৫ বছর আগে মা-মেয়েকে হত্যা করার ঘটনায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় অনুযায়ী, দণ্ডিতদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দিতে হবে।

রোববার (২০ জুলাই) ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নার্গিস ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন।

মো. আল আমিন,মো. মিরাজ মোল্লা, নুর আলম (পলাতক) আল আমিন ও মিরাজকে আদালতে হাজির করে রায় ঘোষণার পর কারাগারে পাঠানো হয়। তবে নুর আলম পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

২০১০ সালের ৮ মে, পারিবারিক কলহের জেরে ভিকটিম মোসাম্মৎ ইয়াসমিন আলম ও তার কন্যা ইরিনা আলম তানহাকে গলায় ফাঁস দিয়ে এবং হাত-পা বেঁধে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর নিহত ইয়াসমিনের ভাই মনির হোসেন কদমতলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ৩১ আগস্ট পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধ বিভাগের পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়। ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম তুষার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা রায়ে সন্তুষ্ট। এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”