ঢাকা ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় নিয়ে উদ্বেগ, অন্তর্বর্তী সরকারের আশ্বস্তকারী বার্তা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
  • ৩৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (OHCHR) মিশন কার্যক্রম শুরু করেছে। এ লক্ষ্যে জাতিসংঘের সঙ্গে একটি তিন বছরের সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মহলে কিছু উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়—
👉 এই মিশনের মূল লক্ষ্য হলো মানবাধিকার উন্নয়ন ও সুরক্ষায় সহযোগিতা করা।
👉 সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে প্রশিক্ষণ, কারিগরি সহায়তা ও আইনি পরামর্শ দেওয়া হবে।
👉 এটি ২০২৪ সালের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জবাবদিহি ও সংস্কার নিশ্চিত করার প্রচেষ্টার অংশ।

সরকার জানিয়েছে, OHCHR মিশন বাংলাদেশের প্রচলিত আইন, সামাজিক রীতিনীতি ও সংস্কৃতির বাইরে কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে না। এ বিষয়ে জাতিসংঘের পক্ষ থেকেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে— “তারা বাংলাদেশি সমাজের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ পুরোপুরি সম্মান করে কাজ করবে।”

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যদি ভবিষ্যতে মিশন দেশের স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয়, তাহলে সরকার চুক্তি থেকে সরে আসার অধিকার সংরক্ষণ করে।

সরকারের মতে, যদি এ ধরনের একটি কার্যালয় আগের সরকারগুলোর সময় থাকত, তাহলে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও দায়মুক্তির অনেক ঘটনা নথিভুক্ত হতো।

সরকার এই অংশীদারত্বকে দেখে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নাগরিক সুরক্ষা নিশ্চিতের একটি সুযোগ হিসেবে—যা হবে দেশের আইন, মূল্যবোধ ও জবাবদিহির ভিত্তিতে পরিচালিত।

Tag :

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় নিয়ে উদ্বেগ, অন্তর্বর্তী সরকারের আশ্বস্তকারী বার্তা

আপডেট সময় : ০৭:৩৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (OHCHR) মিশন কার্যক্রম শুরু করেছে। এ লক্ষ্যে জাতিসংঘের সঙ্গে একটি তিন বছরের সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মহলে কিছু উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়—
👉 এই মিশনের মূল লক্ষ্য হলো মানবাধিকার উন্নয়ন ও সুরক্ষায় সহযোগিতা করা।
👉 সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে প্রশিক্ষণ, কারিগরি সহায়তা ও আইনি পরামর্শ দেওয়া হবে।
👉 এটি ২০২৪ সালের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জবাবদিহি ও সংস্কার নিশ্চিত করার প্রচেষ্টার অংশ।

সরকার জানিয়েছে, OHCHR মিশন বাংলাদেশের প্রচলিত আইন, সামাজিক রীতিনীতি ও সংস্কৃতির বাইরে কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে না। এ বিষয়ে জাতিসংঘের পক্ষ থেকেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে— “তারা বাংলাদেশি সমাজের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ পুরোপুরি সম্মান করে কাজ করবে।”

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যদি ভবিষ্যতে মিশন দেশের স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয়, তাহলে সরকার চুক্তি থেকে সরে আসার অধিকার সংরক্ষণ করে।

সরকারের মতে, যদি এ ধরনের একটি কার্যালয় আগের সরকারগুলোর সময় থাকত, তাহলে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও দায়মুক্তির অনেক ঘটনা নথিভুক্ত হতো।

সরকার এই অংশীদারত্বকে দেখে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নাগরিক সুরক্ষা নিশ্চিতের একটি সুযোগ হিসেবে—যা হবে দেশের আইন, মূল্যবোধ ও জবাবদিহির ভিত্তিতে পরিচালিত।