ঢাকা ০২:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইলিশের দাম নির্ধারণে প্রস্তাব অনুমোদন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩০:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • ৬০ বার পড়া হয়েছে

চাঁদপুরসহ অন্যান্য জেলায় ইলিশের মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। সেই চিঠির আলোকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত জুন মাসে বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করেন। মূল্য নির্ধারণের এ প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠিতে এসব তথ্য নিশ্চিত জানানো হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সংযোগ শাখার স্মারকে গত ২৬ জুন এ সংক্রান্ত চিঠি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক চাঁদপুর ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের একান্ত সচিব বরাবর পাঠানো হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, কমিশনারগণের নিকট থেকে প্রাপ্ত জুন ২০২৫-এর প্রথম পক্ষের পাক্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে নিম্নোক্ত প্রস্তাবটি প্রধান উপদেষ্টার সমীপে উপস্থাপন করা হয়।

সেখানে বলা হয়, চাঁদপুরের ইলিশের সুস্বাদুতার সুযোগ নিয়ে চাঁদপুর ও আশপাশের জেলার কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী এবং আড়তদার নিজের ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাচ্ছেন, যা একেবারেই ক্রেতার নাগালের বাহিরে। ইলিশের চড়া মূল্যের কারণে ইলিশ জনসাধারণের ক্রয় সীমার নাগালের বাহিরে চলে যাচ্ছে। যেহেতু ইলিশ চাঁদপুরসহ অন্যান্য জেলাতেও ধরা পড়ে সেহেতু কেবলমাত্র জেলা প্রশাসন, চাঁদপুর কর্তৃক ইলিশের মূল্য নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হলে এর ফলপ্রসু প্রভাব পড়বে না।

চাঁদপুরের পাশাপাশি বরিশাল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠিসহ আরও অনেক সাগর তীরবর্তী জেলায় ইলিশ ধরা পড়ে থাকে। নদী বা সাগরে ইলিশ উৎপাদনে জেলেদের কোন উৎপাদন খরচ না থাকলেও ধৃত ইলিশের দাম অসাধু ব্যবসায়ী কিংবা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে।

যেহেতু ইলিশ প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদন হয় সেহেতু ইলিশ আহরণ ও অন্যান্য আনুসঙ্গিক ব্যয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে ইলিশের মূল্য নির্ধারণ প্রয়োজন। মূল্য নির্ধারণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে সদয় নির্দেশনা প্রদান করা যেতে পারে। এ প্রস্তাবটি প্রধান উপদেষ্টা সদয় অনুমোদন করেছেন।

এ প্রসঙ্গে চাঁদপুরের ডিসি মোহাম্মদ মহসীন উদ্দিন বলেন, ‘চাঁদপুরসহ দেশের ১০ থেকে ১২ জেলায় ইলিশ ধরা পড়ে এবং ক্রয়-বিক্রয় হয়। আমরা মনে করছি, চাঁদপুরে অংশীজনদের নিয়ে ইলিশের দাম নির্ধারণ করে দেয়। তখন এ ইলিশ অন্য জেলায় গিয়ে বিক্রি হবে। এরই ভিত্তিতে আমি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছি। ইলিশের বাজার মূল্য যাতে করে সিন্ডিকেটের খপ্পরে না পড়ে এবং উচ্চমূল্য না হয়।’

Tag :

ইলিশের দাম নির্ধারণে প্রস্তাব অনুমোদন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৬:৩০:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

চাঁদপুরসহ অন্যান্য জেলায় ইলিশের মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। সেই চিঠির আলোকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত জুন মাসে বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করেন। মূল্য নির্ধারণের এ প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠিতে এসব তথ্য নিশ্চিত জানানো হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সংযোগ শাখার স্মারকে গত ২৬ জুন এ সংক্রান্ত চিঠি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক চাঁদপুর ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের একান্ত সচিব বরাবর পাঠানো হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, কমিশনারগণের নিকট থেকে প্রাপ্ত জুন ২০২৫-এর প্রথম পক্ষের পাক্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে নিম্নোক্ত প্রস্তাবটি প্রধান উপদেষ্টার সমীপে উপস্থাপন করা হয়।

সেখানে বলা হয়, চাঁদপুরের ইলিশের সুস্বাদুতার সুযোগ নিয়ে চাঁদপুর ও আশপাশের জেলার কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী এবং আড়তদার নিজের ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাচ্ছেন, যা একেবারেই ক্রেতার নাগালের বাহিরে। ইলিশের চড়া মূল্যের কারণে ইলিশ জনসাধারণের ক্রয় সীমার নাগালের বাহিরে চলে যাচ্ছে। যেহেতু ইলিশ চাঁদপুরসহ অন্যান্য জেলাতেও ধরা পড়ে সেহেতু কেবলমাত্র জেলা প্রশাসন, চাঁদপুর কর্তৃক ইলিশের মূল্য নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হলে এর ফলপ্রসু প্রভাব পড়বে না।

চাঁদপুরের পাশাপাশি বরিশাল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠিসহ আরও অনেক সাগর তীরবর্তী জেলায় ইলিশ ধরা পড়ে থাকে। নদী বা সাগরে ইলিশ উৎপাদনে জেলেদের কোন উৎপাদন খরচ না থাকলেও ধৃত ইলিশের দাম অসাধু ব্যবসায়ী কিংবা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে।

যেহেতু ইলিশ প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদন হয় সেহেতু ইলিশ আহরণ ও অন্যান্য আনুসঙ্গিক ব্যয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে ইলিশের মূল্য নির্ধারণ প্রয়োজন। মূল্য নির্ধারণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে সদয় নির্দেশনা প্রদান করা যেতে পারে। এ প্রস্তাবটি প্রধান উপদেষ্টা সদয় অনুমোদন করেছেন।

এ প্রসঙ্গে চাঁদপুরের ডিসি মোহাম্মদ মহসীন উদ্দিন বলেন, ‘চাঁদপুরসহ দেশের ১০ থেকে ১২ জেলায় ইলিশ ধরা পড়ে এবং ক্রয়-বিক্রয় হয়। আমরা মনে করছি, চাঁদপুরে অংশীজনদের নিয়ে ইলিশের দাম নির্ধারণ করে দেয়। তখন এ ইলিশ অন্য জেলায় গিয়ে বিক্রি হবে। এরই ভিত্তিতে আমি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছি। ইলিশের বাজার মূল্য যাতে করে সিন্ডিকেটের খপ্পরে না পড়ে এবং উচ্চমূল্য না হয়।’