ঢাকা ০১:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যানজট বাড়ছে

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:২২:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে
আর মাত্র এক দিন পর পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ উপলক্ষে নাড়ির টানে ঘরমুখো মানুষ ছুটছেন। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে ব্যস্ত লাখ লাখ মানুষ।

এদিকে প্রায় ৫০ ভাগ কারখানা বৃহস্পতিবার একসঙ্গে ছুটি হয়েছে। কারখানার শ্রমিকরা বাড়ির পথ ধরেছেন। ফলে যে যার মতো লোকজন বাসে, ট্রাকে, পিকআপে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করছেন। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে থেমে থেমে যানজট লক্ষ্য করা গেছে। সময় যত পেরিয়ে যাচ্ছে, চন্দ্রা এলাকায় যানজট তত বাড়ছে। এছাড়া পরিবহণ সংকটে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সফিপুর ও চন্দ্রা ফ্লাইওভারের উপরে যানবাহনগুলোকে ঠাঁই দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

জানা যায়, গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রাতে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। চন্দ্রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। চাপ বাড়ায় স্টেশন এলাকাগুলোতে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকার উভয়দিকে কমপক্ষে ১২ কিলোমিটার এলাকায় থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ঘরমুখো মানুষ। উপজেলার চন্দ্রা দিয়ে উত্তরবঙ্গের ১৭টি জেলার লোকজন ও যানবাহন যাতায়াত করে। পশুবাহী যানবাহন ঢাকায় ঢুকবে। ফলে সড়কে চাপ বেশি থাকছে।

এর মধ্যে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অন্যান্য দিনের চেয়ে যাত্রী, গণপরিবহণ ও পশুবাহী গাড়ির চাপ বেড়েছে দ্বিগুণ। এক দিকে যানজট অপরদিকে যানবাহন ধীরগতি। গাজীপুরে বেশির ভাগ শিল্প কলকারখানা ছুটি ঘোষণায় মহাসড়কে ব্যাপক যাত্রীর চাপ বেড়েছে। স্টেশন এলাকাগুলোতে যানবাহনের ধীরগতি থাকায় ঘরমুখো মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। দুপুরে বৃষ্টি হওয়ার ফলে মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এবার তিন পর্বে পোশাক কারখানায় ঈদের ছুটি হয়েছে। গেল মঙ্গলবার ১০ ভাগ, বুধবার ৪০ ভাগ এবং বৃহস্পতিবার ৫০ ভাগ কারখানায় ঈদের ছুটি হয়েছে। বেশিরভাগ কারখানাই নিজেদের পরিবহণ ব্যবস্থা রেখেছে। যাদের গাড়ির ব্যবস্থা নেই তারা স্টেশনগুলোতে দীর্ঘসময় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করে পর্যাপ্ত যানবাহন না পেয়ে খোলা ট্রাক, বাসের ছাদ, পিকাআপ বা অন্য ছোট যানবাহনে করেই ঈদে বাড়ি যাচ্ছেন। এই সুযোগ পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা অন্যবারের মতোই অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী যাত্রীরা।

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মহাসড়কে কাজ করছেন চার হাজার পুলিশ সদস্য। রয়েছেন সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরাও। চন্দ্রা এলাকায় ছিনতাইকারী, ডাকাতি, মলম পার্টি সদস্যদের হাতে যেন যাত্রীরা কোনো রকম হয়রানির শিকার না হয়, সে জন্য চন্দ্রা এলাকাজুড়ে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।

নাওজোড় হাইওয়ে পুলিশের ওসি সওগাতুল আলম বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মহাসড়কে পুলিশ সদস্য ছাড়াও সেনা ও বিজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।

Tag :

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যানজট বাড়ছে

আপডেট সময় : ০৪:২২:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫
আর মাত্র এক দিন পর পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ উপলক্ষে নাড়ির টানে ঘরমুখো মানুষ ছুটছেন। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে ব্যস্ত লাখ লাখ মানুষ।

এদিকে প্রায় ৫০ ভাগ কারখানা বৃহস্পতিবার একসঙ্গে ছুটি হয়েছে। কারখানার শ্রমিকরা বাড়ির পথ ধরেছেন। ফলে যে যার মতো লোকজন বাসে, ট্রাকে, পিকআপে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করছেন। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে থেমে থেমে যানজট লক্ষ্য করা গেছে। সময় যত পেরিয়ে যাচ্ছে, চন্দ্রা এলাকায় যানজট তত বাড়ছে। এছাড়া পরিবহণ সংকটে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সফিপুর ও চন্দ্রা ফ্লাইওভারের উপরে যানবাহনগুলোকে ঠাঁই দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

জানা যায়, গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রাতে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। চন্দ্রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। চাপ বাড়ায় স্টেশন এলাকাগুলোতে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকার উভয়দিকে কমপক্ষে ১২ কিলোমিটার এলাকায় থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ঘরমুখো মানুষ। উপজেলার চন্দ্রা দিয়ে উত্তরবঙ্গের ১৭টি জেলার লোকজন ও যানবাহন যাতায়াত করে। পশুবাহী যানবাহন ঢাকায় ঢুকবে। ফলে সড়কে চাপ বেশি থাকছে।

এর মধ্যে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অন্যান্য দিনের চেয়ে যাত্রী, গণপরিবহণ ও পশুবাহী গাড়ির চাপ বেড়েছে দ্বিগুণ। এক দিকে যানজট অপরদিকে যানবাহন ধীরগতি। গাজীপুরে বেশির ভাগ শিল্প কলকারখানা ছুটি ঘোষণায় মহাসড়কে ব্যাপক যাত্রীর চাপ বেড়েছে। স্টেশন এলাকাগুলোতে যানবাহনের ধীরগতি থাকায় ঘরমুখো মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। দুপুরে বৃষ্টি হওয়ার ফলে মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এবার তিন পর্বে পোশাক কারখানায় ঈদের ছুটি হয়েছে। গেল মঙ্গলবার ১০ ভাগ, বুধবার ৪০ ভাগ এবং বৃহস্পতিবার ৫০ ভাগ কারখানায় ঈদের ছুটি হয়েছে। বেশিরভাগ কারখানাই নিজেদের পরিবহণ ব্যবস্থা রেখেছে। যাদের গাড়ির ব্যবস্থা নেই তারা স্টেশনগুলোতে দীর্ঘসময় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করে পর্যাপ্ত যানবাহন না পেয়ে খোলা ট্রাক, বাসের ছাদ, পিকাআপ বা অন্য ছোট যানবাহনে করেই ঈদে বাড়ি যাচ্ছেন। এই সুযোগ পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা অন্যবারের মতোই অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী যাত্রীরা।

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মহাসড়কে কাজ করছেন চার হাজার পুলিশ সদস্য। রয়েছেন সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরাও। চন্দ্রা এলাকায় ছিনতাইকারী, ডাকাতি, মলম পার্টি সদস্যদের হাতে যেন যাত্রীরা কোনো রকম হয়রানির শিকার না হয়, সে জন্য চন্দ্রা এলাকাজুড়ে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।

নাওজোড় হাইওয়ে পুলিশের ওসি সওগাতুল আলম বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মহাসড়কে পুলিশ সদস্য ছাড়াও সেনা ও বিজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।