দেশে দুর্নীতির প্রসঙ্গ এলে যে-সব প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে আসে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে নিম্নপদ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পদধারীর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) কর্মকর্তা ইকবাল আহামদ । গ্রামের মানুষ তাকে সোহেল নামে চিনেন।ছিলেন সাভার বিআরটিএ মটরযান পরিদর্শক, তিনি সাভার বিআরটিএ অল্প কিছুদিন কর্মরত ছিলেন এখান থেকে তার দুর্নীতির মুকুট পরে গড়েছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়। অনুসন্ধানে জানা যায়, পৈত্রিক সুত্রে মানিকগঞ্জ জেলার, সিংগাইর থানা তার বাসস্থান থাকলেও করেছেন নামে-বেনামে দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক অবৈধ সম্পদ।সাভার ব্যাংক কলোনি এলাকায় রয়েছে বিশাল এক আলিশান বাড়ি এ যেন ভিতরে রাজপ্রাসাদ চোখ ধাঁধানো বিলাসবহুল জীবনযাপন।সাভারে দুর্নীতির দায়ে হয়েছিলেন ছয়(৬)মাসের জন্য সাসপেন্ড।তারপরও যেনো থেমে নেই তার অপকর্ম।সাভার বি আর টি এ থেকে ট্রান্সফার হয়ে চলে যান বরিশাল বি আর টি এ। অভিযোগ রয়েছে বরিশাল বি আর টি এ এর সরকারি পরিচালক শাহ আলম ও রেকর্ড কিপার আব্দুর রাজ্জাক এর সাথে জড়িত হয়ে ২০২৩ সালে ২৫৫টি গাড়ি অবৈধভাবে রেজিস্ট্রেশন এর সাথে জড়িত ছিলো এই ইকবাল আহমদ।করেছেন রিসোর্ট এর মতন নিরাপত্তায় ঘেরা এক খামারবাড়ি, গড়েছেন আলিশান বাড়ি, রয়েছে অর্ধকোটি টাকার গাড়িও তার দখলে।পরিচয় গোপনে তার নিকট আত্নীয় জানান তার বাড়িতে কয় এক লক্ষ টাকা খরচ করে বানিয়েছেন শুধু দরজাটি।ভিতরে প্রবেশ করলে যেনো মনে হবে কোন এক রাজ্যের রাজ পরিবারের বসবাস এক কথায় রাজপ্রাসাদ।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ‘মোটরযান পরিদর্শক’ ১০ম গ্রেডের চাকুরীজীবি হয়ে কিভাবে এত সম্পদের মালিক হলেন তা অবশ্যই সবার অবগত আছে।তার ব্যাক্তিগত জীবনেও রয়েছে রহস্যের জাল।তার স্ত্রী আর্জিনা যিনি বর্তমানে সাভার পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিতে ব্যস্ত হয়ে আছেন।ইরিনা এলিনা নামে দুই কন্যা সন্তানের নামে করেন মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানার অন্তর্গত ডেইরি ফার্ম। জানা যায় আরজিনা বেগম এই কর্মকর্তাকে বিয়ে করে যেনো ভাগ্য বদলে যায় তার স্ত্রী(আর্জিনা) পরিবারের।স্ত্রীর নামে-বেনামে করেন অনেক সম্পদ। এমনকি শ্বশুরবাড়িতে বহুতল ভবন কার্যক্রম চলমান।নিয়োগ/বানিজ্য করেও কামিয়েছেন অবৈধ সম্পদ। ছোট ভাইকে চাকরিও দিয়েছেন বিআরটিএ।পরিচয় গোপনে তার এক সহকর্মীর তথ্য অনুযায়ী সাইফুল নামে একজনকে তিনি বিআরটিএ অফিসে নিয়োগ করিয়ে দেন।এছাড়াও তিনি আরো বিভিন্ন জনকে নিয়োগ করিয়ে দিতে সহযোগিতা করেন।বরিশালে দুর্নীতি করে বেশিদিন থাকতে পারেননি পরবর্তীতে তিনি বরিশাল বিআরটিএ অফিস থেকে ট্রান্সফার হয়ে যান।বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম বিআরটিএ কর্মরত আছেন জানা গেছে সেখানেও তিনি দুর্নীতির জাল বুনছেন।
বিস্তারিত থাকছে পরবর্তী পর্বে…. ।

নিজস্ব প্রতিবেদক 



















