জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, আগামী নির্বাচনে ভালো মানুষদের যদি আমরা উঠে আসার সুযোগ করে না দেই, তাহলে ভালো মানুষরা ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে এবং খারাপ মানুষরা আবারো আমাদের ওপর জেঁকে বসবে। যেভাবে ফ্যাসিস্ট জেঁকে বসেছিল গত ১৬ বছর ধরে।
শুক্রবার (৩০ মে) দিবাগত রাত পৌনে ১টায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের স্বাধীনতা চত্বরের পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সারজিস বলেন, সৃষ্টিকর্তা আমাদের বিবেকের মধ্যে যে জায়গা টুকু দিয়েছেন আগামীর বাংলাদেশে হাজারো শহিদ এবং লক্ষাধিক আহত যোদ্ধা ভাইদের কথা মাথায় রেখে নিজের সেই বিবেকবোধকে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ এবং পারিবারিক স্বার্থকে প্রাধান্য না দিয়ে, আমরা যেন সবার আগে দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থকে প্রাধান্য দেই। আমরা যদি এ কাজটা করতে পারি তাহলে আগামীর বাংলাদেশে আমাদের স্বপ্নগুলো পূরণ হবে।
গভীর রাতে হাজারো ছাত্র-জনতার উপস্থিতি আমাদের কমিটমেন্টকে হাজারগুণ বাড়িয়ে দিবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার যে অভ্যুত্থান বাংলাদেশে সংঘটিত হয়েছে তাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশে আরেকটি রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আত্নপ্রকাশ করেছে।
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের এ মুখ্য সংগঠক বলেন, বিগত সময়ে উত্তরাঞ্চলের মানুষ সবসময় বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। গাইবান্ধার মানুষও সেই বৈষম্যের শিকার। সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে, নতুন দিনের প্রত্যাশায় কীভাবে আগামীর বাংলাদেশের দিকে তারা তাকিয়ে আছে। আমরা আর কোনো চাঁদাবাজ, মাদককারবারি ও জনগণের অধিকার হরনকারীকে ক্ষমতায় দেখতে চাই না। শুধু পরিবারতন্ত্র নয়। পারিবারিকভাবে একই মার্কায় ভোট দেওয়ার মানসিকতা থেকেও সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে। ভালো মানুষকে নির্বাচিত করতে হবে।
এ সময় পথসভায় দলের কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক অ্যাডভোকেট আলী নাসের খান, মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতু, আসাদুল্লাহ গালিব, সাদিয়া ফারজানা দিনা, কেন্দ্রীয় সংগঠক নাজমুল হাসান সোহাগ ও কেন্দ্রীয় সদস্য ফিহাদুর রহমানসহ স্থানীয় নেতারাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জেলার গোবিন্দগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি, সদর, পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুরের পথসভায় নেন তারা।

অনলাইন ডেস্ক 


















