মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের অন্যতম সুবিধাভোগী একজন দোসর। ছাত্র জনতার ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় তিনি নিজে ও তার ছেলে সড়ক পরিবহণ অধিদপ্তরের উপসহকারি প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত শাহ আলম সরাসরি ছাত্রদের আন্দোলন ঠেকাতে লাঠি-অস্ত্র হাতে মাঠে নেমেিেছলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবিদার এই দূর্নীতিবাজ ছিলেন সিভিল এভিয়েশনের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারি। পদ ফোরম্যান। জাতির ঘাড়ে চেপে বসা দীর্ঘসময় জুড়ে ফ্যাসিস্ট সহযোগী হিসেবে তিনি অবৈধ ক্ষমতা ব্যবহার ও অনৈতিক কাজের মাধ্যমে অর্জন করেছে শত কোটি টাকার সম্পদ। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে গড়ে তুলেছেন সম্পদের বিশাল ভান্ডার। অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে নিজের ছেলেকে সওজে চাকুরি দিয়েছেন। এখন সওজে বসে এই ফ্যাসিস্টের সন্তান সরকার বিরোধী শক্তিকে সম্বয় করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, ঢাকার দক্ষিণ খান এলাকার পূর্ব মোল্লার টেক এলাকায় বসবাস করে মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ। এলাকায় তিনি একজন রীতিমতো জমিদার হিসেবে পরিচিত। এই এলাকায় রয়েছে তার কমপক্ষে ১৫টি বাড়ী। বর্তমান সময়ে ¯’ানীয় আওয়ামী রাজনীতির অন্যতম পৃষ্ঠপোষক তিনি। এয়ার পোর্ট ও দক্ষিণ খান বা পুরো উত্তরা এলাকার নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িতদের আশ্রয় প্রশ্রয়ের অন্যমত শেল্টারদাতা হয়ে উঠেছেন আব্দুল হামিদ। সূত্র বলছে, নিজ বাড়ীতেই তিনি গোপনে গড়ে তুলেছেন নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মিদের গোপন আস্তানা। এখান থেকেই সরকারকে নানাভাবে বিব্রত করার প্রচারণা চালানোর অভিযোগও উঠেছে। এ দিকে, সওজের সূত্র বলছে, মুক্তিযোদ্ধার তকমা ব্যবহার করে সে সময় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সরাসরি নির্দেশনায় শাহ আলমকে চাকুরি দেয়া হয়। চাকুরিতে যোগদান করেই শাহ আলমও বাবার মুক্তিযোদ্ধা তকমা ব্যবহার করে সওজে প্রভাবখাটাতে শুরু করে। সওজের কালোতালিকাভূক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে সরাসরি ঘুষ লেনদেনে জড়িয়ে পড়ে শাহ আলম। অল্প দিনেই রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুন্ঠন সিন্ডিকেটের অন্যতম দোসর হয়ে ওঠে ফ্যাসিস্ট হামিদপূত্র শাহ আলম। জানা গেছে, মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ ছিলেন সিভিল এভিয়েশন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের যুগ্ম আহবায়ক । মুক্তিযোদ্ধার তকমার আড়ালে বছরের পর বছর ধরে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে হেন কোন অপকর্ম নেই যার সাথে সম্পৃক্ততা ছিলোনা এই ফোরম্যান আব্দুল হামিদের। তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদী রায়পুরা মধ্যপাড়া গ্রামে। ঐ গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অতি সাধারণ এ পরিবারে জন্ম আব্দুল হামিদের। কিš‘ এখন ঐলাকাতেও তিনি রীতিমতো জমিদার। শতকোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন এলাকতে। আমাদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ফ্যাসিস্ট দোসর আব্দুল হামিদ ও তার দূর্নীতিবাজপূত্র সওজের উপসহকারি প্রকৌশলী শাহ আলমের অবৈধ সম্পদের চোখ ধাঁধানো তথ্য। এলাকা বাসীর ভাষ্য অনুযায়ী অবৈধ ভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হামিদ পরিবার যে সম্পদ গড়েছেন তা আগামী ২০ প্রজন্ম বসে খেলেও শেষ হবে না।
আমাদের হাতে আসা তথ্য থেকে দেখা যা”েছ, দক্ষিন খান নবীন সংঘ ক্লাবের সাথে হামিদ পরিবারের সাড়ে তিন কাঠার একটি বাড়ি রয়েছে, এ বাড়ীসহ এ জমির বর্তমান বাজার মূল্য ৬ কোটি টাকার উপরে। দক্ষিণ খান নবাব বাড়ি রোড মোল্লারটেক এ আছে আড়াই কাঠা জমির উপর টিনসেড বিল্ডিং যার বাজার মূল্য ৪ কোটি টাকার উপরে, পূর্ব মোল্লার টেক তেতুলতলা বেকারি রোডে মার্কেটসহ রয়েছে চার কাঠার একটি বাড়ি , যার বাজার মূল্য ১০ কোটি টাকার উপরে। পূর্ব মোল্লার টেক খ্রিষ্টান স্কুলের পাশে রয়েছে চার কাটার ৮তলা ফাউন্ডেশন এর বাড়ি। এ বাড়ীটির বর্তমান বাজার মূল্য ৭ কোটি টাকার উপরে। এ বাড়িতেই তিনি পরিবারসহ বসবাস করেন। সরে জমিনে তদন্ত করে জানা যায়, যে তার আরো ১৫ টা বাড়ি রয়েছে। এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় তার নিজ এলাকা গ্রামের বাড়ি নরসিংদীতে রয়েছেন বিঘা বিঘা সম্পত্তি। নরসিংদী শহরে রয়েছে প্লট ও ফ্ল্যাট। স্ত্রীর একাউন্টে লেনদেন হয়েছে কোটি কোটি টাকা । এত সম্পদের উৎস সম্পর্কের জানতে আব্দুল হামিদের মুঠোফোনে জানান, গ্রামের পৈত্রিক জমি বিক্রি করে এবং পেনসনে পাওয়া ৩০-৩৫ লাখ টাকা দিয়ে তিনি এসব করেছেন। বর্তমান অন্তবর্তিকালীন সরকারকে বিব্রত করার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে ফোন রেখে দেন। এ দিকে ফোনম্যান পিতার এতসব সম্পদ সম্পর্কে জানতে চাইলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকুরিতে প্রবেশকারি সওজের উপসহকারি প্রকৌশলী শাহ আলম বলেন, পিতার সম্পত্তি সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা।
সওজের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে ফ্যাসিস্টপূত্র শাহ আলমও ইতোমধ্যে নামে বেনামে গড়ে তুলেছে বিপুল পরিমান সম্পদ। যা অনুসন্ধ্যানে কাজ করছে আমাদের বিশেষ টিম।

বিশেষ প্রতিনিধি 



















