ঢাকা ০৪:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সকল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণে কাজ করবে আর্কাইভ : তথ্য সচিব

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অডিও-ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণে কাজ করবে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ।শনিবার (১৭ই মে) আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সচিব বলেন, ঐতিহ্যবাহী ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান হিসাবে ‘বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ’ ভিজ্যুয়াল বা চিত্রভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণের গৌরবময় দায়িত্ব পালন করছে। প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তথ্য সচিব বলেন, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে আধুনিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহের মাধ্যমে ফিল্ম ভল্ট ব্যবস্থাপনাকে আরও উন্নত ও আধুনিক করা হবে। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সঠিক ইতিহাস যেন বিকৃত না হয়, তা নিশ্চিত করতে এই আর্কাইভ নির্ভরযোগ্য তথ্য সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে ফিল্ম আর্কাইভের সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ‘ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফিল্ম আর্কাইভস্‌’ এবং ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব অডিও-ভিজ্যুয়াল আর্কাইভ’-এর অন্যতম সদস্য। এই দুই আর্ন্তজাতিক সংগঠনের সঙ্গে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সক্রিয় যোগাযোগ রয়েছে। তিনি ফিল্ম আর্কাইভের সক্ষমতা বাড়াতে আন্তর্জাতিক এসব সংগঠনের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সভাপতির বক্তৃতায় বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিল বলেন, অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ একটি আধুনিক ও সুসংগঠিত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। চলচ্চিত্রকে সমাজ পরিবর্তনের অন্যতম হাতিয়ার উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি জাতির ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সময়ের নির্ভরযোগ্য দলিল হিসাবে চলচ্চিত্রের ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ সেই দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণের ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনে নিরলসভাবে কাজ করছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহের তথ্য সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অডিও-ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি এখন অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভকে চলচ্চিত্রের ঐতিহ্য সংরক্ষণের আঁতুড়ঘর হিসাবে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের পরিচালক ফারহানা রহমান। বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুমা রহমান তানি, ফিল্ম আর্কাইভ ভবন নির্মাণ প্রকল্পের সাবেক প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান, ফিল্ম এডিটর ও পরিচালক ফজলে হক, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি শাহীন সুমন, প্রযোজক ও পরিচালক সায়মন সাদিক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট অভিনেতা হেলাল খান, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য লাবিব নাজমুস সাকিব ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান-সংক্রান্ত জুরি বোর্ডের সদস্য সাইদুর রহমান সাইদ।

আলোচনা সভার আগে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সকল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণে কাজ করবে আর্কাইভ : তথ্য সচিব

আপডেট সময় : ০৩:১৮:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অডিও-ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণে কাজ করবে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ।শনিবার (১৭ই মে) আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সচিব বলেন, ঐতিহ্যবাহী ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান হিসাবে ‘বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ’ ভিজ্যুয়াল বা চিত্রভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণের গৌরবময় দায়িত্ব পালন করছে। প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তথ্য সচিব বলেন, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে আধুনিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহের মাধ্যমে ফিল্ম ভল্ট ব্যবস্থাপনাকে আরও উন্নত ও আধুনিক করা হবে। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সঠিক ইতিহাস যেন বিকৃত না হয়, তা নিশ্চিত করতে এই আর্কাইভ নির্ভরযোগ্য তথ্য সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে ফিল্ম আর্কাইভের সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ‘ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফিল্ম আর্কাইভস্‌’ এবং ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব অডিও-ভিজ্যুয়াল আর্কাইভ’-এর অন্যতম সদস্য। এই দুই আর্ন্তজাতিক সংগঠনের সঙ্গে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সক্রিয় যোগাযোগ রয়েছে। তিনি ফিল্ম আর্কাইভের সক্ষমতা বাড়াতে আন্তর্জাতিক এসব সংগঠনের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সভাপতির বক্তৃতায় বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিল বলেন, অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ একটি আধুনিক ও সুসংগঠিত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। চলচ্চিত্রকে সমাজ পরিবর্তনের অন্যতম হাতিয়ার উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি জাতির ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সময়ের নির্ভরযোগ্য দলিল হিসাবে চলচ্চিত্রের ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ সেই দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণের ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনে নিরলসভাবে কাজ করছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহের তথ্য সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অডিও-ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি এখন অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভকে চলচ্চিত্রের ঐতিহ্য সংরক্ষণের আঁতুড়ঘর হিসাবে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের পরিচালক ফারহানা রহমান। বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুমা রহমান তানি, ফিল্ম আর্কাইভ ভবন নির্মাণ প্রকল্পের সাবেক প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান, ফিল্ম এডিটর ও পরিচালক ফজলে হক, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি শাহীন সুমন, প্রযোজক ও পরিচালক সায়মন সাদিক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট অভিনেতা হেলাল খান, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য লাবিব নাজমুস সাকিব ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান-সংক্রান্ত জুরি বোর্ডের সদস্য সাইদুর রহমান সাইদ।

আলোচনা সভার আগে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।