মসজিদে নামকরণ নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও সক্রিয়, উত্তর চিংড়াখালী গ্রামের ১ নং ওয়ার্ডের মুমিন মুসল্লিগনের আইন শৃঙ্খলা সকল পর্যায়ের প্রশাসনের প্রতি হস্তক্ষেপ কামনা।
বাগেরহাট জেলার মোড়েলগন্জ উপজেলার ৬ নং চিংড়াখালী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ” উত্তর চিংড়াখালী খান বাড়ি জামে মসজিদ ” নামে শত বছরের ঊর্ধ্বে পরিচিতি রয়েছে।
যাহার ইতিহাসে বলে ০৩ টি দলিল, ১৯৯৬/৯৭ সালের বিদ্যুৎ বিল, ব্যাংক একাউন্ট, ইউনিয়ন/ উপজেলার তালিকায় এবং গুগল মানচিত্রেও উত্তর চিংড়া খালী খান বাড়ি জামে মসজিদ নামে তাও একই নামে ইতিহাসে নামকরণ রয়েছে।
বর্তমানে উক্ত মসজিদের সভাপতি হিসাবে সাবেক সেনা সদস্য মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান খান, পিতা মৃত হাবিবুর রহমান খান মসজিদের দায়িত্ব পালন করে আসছে।
সভাপতি এবং তার প্রায়ত পিতা শারীরিক শ্রম, সিংহভাগ আর্থিক সহায়তা দিয়ে এলাকার মুসল্লিদের প্রতক্ষ/ পরোক্ষ সহায়তায় দিনে দিনে একটি আধুনিক মসজিদে রুপান্তরিত করা হয়েছে।
স্থানীয় কিছু ব্যক্তিদের কু-চক্রান্তে এবং প্রতক্ষ মদদে মসজিদের নামকরন নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আঁরছে।
মসজিদের সভাপতি সাবেক সেনা সদস্য মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানকে ২০২৩ সালে তাকে মারাত্মক ভাবে তার ঘরে উঠে মাথায় প্রচন্ড এবং অন্যান্য স্থানে আঘাত করেন সে প্রেক্ষিতে সাবেক সেনা সদস্য এখনো মাথায় তার প্রতিমাসে ডাক্তারের চেকআপ করাতে হয় এই সাবেক সেনা সদস্যকে আহত করায় তার জীবন হুমকির সম্মুখীন হয়ে পরেছেন। উক্ত ঘটনায় মামলা চলমান রয়েছে।
এহেন পরিস্থিতিতে পূনরায় একই দলভুক্ত এবং উক্ত মামলার আসামিরা মসজিদের নামকরন নিয়ে অহেতুক ঝামেলা সৃষ্টি করে প্রতি শুক্রবার মসজিদের মুসল্লিদের নানা ধরনের হুমকী ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
এমনকি মুসল্লীদের বাড়িতে গিয়ে রাস্তা ঘাটে হুমকি দিয়ে থাকে। এছাড়া মৃত হাবিবুর রহমান এর পরিবারের প্রতি বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার ও জীবন নাশের হুমকী দিয়ে আসছেন। তাদের বিরুদ্ধে কেহ কোন প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
যে কোন সময়ে একটা বড় ধরনের দুঃঘটনার আশংকা করা হচ্ছে।
অত্যাচারিত ব্যক্তিরা হলোঃ
১। মোঃ মুন্না কাজী, পিতা মৃত- আক্তারুজ্জামান (চান কাজী) মুন্না কাজীর বাবা )
মুন্না কাজীর বাবা ছিলেন একজন আওয়ামী লীগের কর্মী দীর্ঘদিন তার বাবা ঢাকা থাকতেন একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের ধরে রানা প্লাজার রানা গার্মেন্টসে চাকরি কর্মস্থলে কর্মরত ছিলেন রানা প্লাজা ধ্বসে পড়ে শতশত লোক নিহত হয় তারমধ্যে মুন্না কাজীর বাবা
আখতারুজ্জামান চান কাজী নিহত হয় এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের দাপটে প্রচুর টাকা সাহায্য পায়। কাজী বংশধর আওয়ামী লীগের দোসর বিগত ১৬ টি বছর ছিলেন।
খান পরিবারের সন্তান একজন ছিলেন আওয়ামী লীগের ট্রামে একট্রাম মেম্বার দ্বিতীয় টানে মৃত লুৎফর রহমান সরদারের সন্তান আরিফ সরদার আওয়ামী লীগের ক্ষমতা অপব্যবহার করে জোরপূর্বক ভোট কেটে মেম্বারের পদমর্যাদা নেই যেখানে কারচুপি করে ভোটগ্রহণ করে কেটে নিয়েছে সেই কারণে দেশ ছেড়ে চলে যায় ২০২১ সালের শেষের দিকে আলাল খান যেখানে দলের নেই কোন নীতি সেখানে আর থাকবো না এ বলে চলে গেলেন দেশ ছেরে মোঃ আলাল খান।
বিগত দিনেও ছিলেন বর্তমানে তার দুই ভাই বিএনপি কর্মী হিসেবে এলাকায় থাকেন এই সরদার গং এবং কাজিগং এর অত্যাচারে থাকা বড় মুশকিল হয়ে পড়েছে এলাকার সাধারণ জনগণ গোপনে জানায়।
আখতারুজ্জামান চান কাজীর সন্তান মুন্না কাজী সেই অর্থের বিনিময়ে তার দাপটে কিছু সন্ত্রাসী চক্রকে হাত করে নিয়ে মসজিদের নামকরণ নিয়ে ষড়যন্ত্র করে আসছে।
মুন্না কাজী গং হল আলাদা বংশধর তারা কোথা থেকে এলেন আমাদের প্রতি প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে পাওয়া যায়-
উত্তর চিংড়া খালি খান বাড়ি জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা মৃত মঙ্গল আলী খান এর বংশধর মৃত মোঃ গফুর আলী খান এর সন্তান মৃত হাবিবুর রহমান খান এই কাজী বংশধরকে লালন-পালন করে খান বাড়ি মানুষ করেছেন।
উওর চিংড়াখালী খান বাড়ি জামে মসজিদের রেজুলেশনে মুন্না কাজীর নানার নাম ও স্বাক্ষরে দেখা যায় মোজাফ্ফর কাজী।
মসজিদের নামকরণ নিয়ে বাড়ির উপরে দ্বন্দ্ব সর্দার বংশধর বাড়ির উপরের ঝামেলার ভিতরে কেন জড়ালেন এর একটি কারণ মুন্না কাজী ব্যবহার করছে টাকার বিনিময়ে।
২। মোঃ কিছলু কাজী, পিতা মৃত মোজাফফর হোসেন কাজী মৃত চান কাজীর শ্যালক অর্থাৎ মুন্না কাজীর মামু কিসলু কাজী অর্থাৎ মুন্না কাজীর বাবা বিয়ে করেছেন চাচাতো বোন এখানে দেখা যায় যে আবার একটি নতুন করে বংশধরের বিস্তার। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে মুন্না কাজীর বাড়ি কোথায় ?
৩। মোঃ আমিনুল ইসলাম সরদার( জুলহাস) পিতা- মৃত লুৎফর রহমান সরদারের সন্তান মসজিদের রেজুলেশনেও তার নাম ও স্বাক্ষর রয়েছেন।
মসজিদের ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া যায় এ ধরনের এলাকার সম্মানিত অনেকেই স্বাক্ষরিত ব্যক্তিদের নাম পাওয়া যায়-
৪। মোঃ সায়েম সরদার, পিতা- মৃত সেকেন্দার আলী সরদার এরা কারা এরা কেন ইতিহাস খুঁজলে পাওয়া যাবে তারা অর্থের বিনিময় কাজ করছে মসজিদের নামকরণ ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে।
৫। মোঃ মজিবর রহমান শিকদার পিতা মৃত- ইসমাইল হোসেন সিকদার এই ব্যক্তি কেন তার বাবা কি ছিল ইতিহাস খুঁজলে পাওয়া যাবে……
৬। মোঃ খোকন শিকদার,পিতা মৃত- হাতেম আলী সিকদার তাও ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যাবে।
৭। মোঃ শান্ত কাজী, পিতা- মোঃ ফারুক কাজী দুজন বাপ-বেটার ইতিহাস খুঁজলে পাওয়া যাবে তারা এলাকার কি……
আমাদের প্রতিবেদক সরেজমিনে খোজ নিয়ে অনেক মুসল্লিদের কাছ থেকে জানতে পারে যে, প্রতি শুক্রবার জুম্মার দিনে মসজিদের নামকরন নিয়ে হট্রগোল এবং পূর্বের ন্যায় মারামারি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে এলাকার একজন নাম বলতে অনিচ্ছুক সে জানায় মসজিদের সভাপতি সহ খান পরিবারের সকলকে জীবন নাশের হুমকী প্রদান প্রায়ই সময় করে থাকেন এবং মসজিদের উপস্থিত মুসুল্লিদের সাথে খারাপ আচরন করে।
তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ভয়ে এলাকার অনেকে ঠিকমত রাস্তাঘাটে বা বাজারে যেতেও ভয় পায়। উক্ত মসজিদের নামকরন পরিবর্তন করার জন্য ৭ নং সন্ত্রাসীর পিতা ফারুক কাজী গং বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেছে যা চলমান রয়েছে।
এছাড়া তাদের অত্যাচার সহ্যকরতে না পেরে উক্ত মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী স্থিতি আদেশ প্রদানের জন্য আবেদন করা হলে বিজ্ঞ আদালত তা আমলে নিয়ে জবাব দাখিলের নির্দেশনা দিলে বিবাদী পক্ষ সময় চেয়ে বিজ্ঞ আদালতের কাছে আবেদন করেন।
বিবাদী বিজ্ঞ আদালতের কাছে আবেদন করে আরো উত্তেজিত হয়ে বিবাদী পক্ষগণ-সভাপতি সহ মুসল্লীদের প্রতি অত্যাচার করে আসছে। জাহা চলমান অবস্থায় রয়েছে সুস্পষ্টভাবে থানা কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত নির্দেশ দেয়নি বিজ্ঞ আদালতের যে রায় দেয় তা দুই পক্ষের আদেশ মানতে হবে।
সন্ত্রাসীদের ভয়ে এলাকার নিরীহ জনগন একপ্রকার জিম্মি হয়ে পড়েছে এবং সাধারণভাবে জীবন যাপন করতে হিমশিম খাচ্ছে।
এ সমস্ত প্রেক্ষাপটে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরে মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোপনে মসজিদে নামাজ আদায় করার জন্য দারোগা কে দায়িত্ব দেয়া হয় সে একটি টিম নিয়ে গোপনে নামাজ আদায়ের সময় আওয়াজ শুনতে পায় মসজিদের নামকরণ নিয়ে কাজী গং ও সরদার গং এর…..গত ০৯/০৫/২০২৫ ইং রোজ শুক্রবার।
সভাপতি সহ এলাকাবাসীর দাবী যাহাতে সকলে শান্তিপূর্ন ভাবে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করতে পারে এ ব্যাপারে সকল পর্যায়ে আইন শৃঙ্খলা কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

অনলাইন ডেস্ক 














